‘বহু মরশুম ইডেনে ট্রেনিংই করতে দেয়নি কিউরেটর’, বিস্ফোরক শ্রীবৎস

‘বহু মরশুম ইডেনে ট্রেনিংই করতে দেয়নি কিউরেটর’, বিস্ফোরক শ্রীবৎস

জ্যোতিষ খবর/ASTRO
Spread the love


সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইডেনের পিচ নিয়ে বিতর্ক নতুন কিছু নয়। কলকাতায় অষ্টাদশ আইপিএলের প্রথম ম্যাচে আরসিবি’র কাছে পরাস্ত হয়েছে কেকেআর। তার পরেই পিচ নিয়ে রাহানে বলেছিলেন, “কোনও অভিযোগ করতে চাই না। তবে অবশ্যই চাইব ইডেনের পিচে বল ঘুরুক। গত দেড় দিন উইকেট কভারে ঢাকা ছিল। যার ফলে শুরুতে একটু ময়েশ্চার ছিল। হ্যাজেলউড কন্ডিশনটা খুব ভালোভাবে কাজে লাগিয়েছিল। তবে উইকেট স্পিন করলে ভালোই লাগবে।”

রাহানে সরাসরি কোনও অভিযোগ জানাননি। তবে তাঁর কথায় পরিষ্কার যে, তিনি স্পিন পিচ চান। কারণ কেকেআরের স্পিন বিভাগ বেশ শক্তিশালী। কিন্তু ইডেনের পিচ কিউরেটর সুজন মুখোপাধ্যায় কেকেআর অধিনায়কের কথায় তোয়াক্কা না করে বলেন, “আমি যতদিন থাকব উইকেটের চরিত্র একই থাকবে। যবে থেকে কিউরেটরের দায়িত্ব নিয়েছি, ইডেনে পিচের চরিত্র কখনও বদলায়নি। আমি থাকাকালীন কখনও বদলাবেও না। তাছাড়া ওদের স্পিনাররা কী করে উইকেট পেল?”

এ নিয়ে কেকেআর শিবির আর পিচ কিউরেটরের মধ্যে ঠান্ডাযুদ্ধ অব্যাহত। এই আবহের মধ্যেই বাংলার ক্রিকেটার শ্রীবৎস গোস্বামী তাঁর ফেসবুক পেজে বিস্ফোরক অভিযোগ করে বসলেন। তিনি লেখেন, ‘নিজের ঘরের মাঠের অধিনায়কের কথা ইডেন গার্ডেন কিউরেটর শুনবেন না, এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। এটাই হয়ে এসেছে বরাবর। এক দশক বাংলার জন্য ক্রিকেট খেলার দরুন এই দৃশ্য আমার অতি পরিচিত। ঘরের মাঠে খেলা হওয়ায় নিজের পছন্দসই পিচ পাওয়া যাবে এমনটাই ভাবা স্বাভাবিক, কিন্তু আমরা বারংবার বলা সত্ত্বেও তা পাইনি।’

শ্রীবৎসর এমন মন্তব্য যে আগুনে ঘি ঢালবে, তা নিয়ে আলাদাভাবে বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে এখানেই থামেননি ৩৫ বছরের এই ক্রিকেটার। এককদম এগিয়ে তিনি লেখেন, “এমনকী ইডেন গার্ডেন কিউরেটর আমাদের বহু মরশুম নিজেদের মাঠে ট্রেনিং করতে দেয়নি। আমরা বাধ্য হয়ে রেড রোডে ট্রেনিং করেছি। কারণ হিসাবে বলা হয়েছে, ‘গ্রাউন্ড খারাপ হয়ে যাবে!’ কিন্তু অপরপ্রান্তে আমাদের প্রতিপক্ষ শিবিরকে দেখেছি তারা চিন্নাস্বামীতে, চিপকে দিনের পর দিন ট্রেনিং করে গেছে।” শ্রীবৎসর পোস্টের পর ইডেন কিউরেটর কোনও মন্তব্য করেননি। এখন দেখার কেকেআর পরবর্তী হোম ম্যাচে নিজের মনের মতো পিচ পায় কিনা। ইডেনে কেকেআরের পরবর্তী ম্যাচ ৩ এপ্রিল। প্রতিপক্ষ সানরাইজার্স হায়দরাবাদ।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *