‘বর্ষার মরশুমেও মাওবাদীদের ঘুমোতে দেব না’, ছত্তিশগড়ের সভা থেকে হুঁশিয়ারি শাহের

‘বর্ষার মরশুমেও মাওবাদীদের ঘুমোতে দেব না’, ছত্তিশগড়ের সভা থেকে হুঁশিয়ারি শাহের

স্বাস্থ্য/HEALTH
Spread the love


সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘বর্ষার মরশুমেও মাওবাদীদের ঘুমোতে দেব না।’ রবিবার ছত্তিশগড়ের নাভা রায়পুরের জনসভা থেকে হুঁশিয়ারি দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। জানিয়ে দিলেন, ৩১ মার্চ ২০২৬-এর মধ্যে মাওবাদমুক্ত ভারতের যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করা হবে।

গত এক বছর ধরেই ছত্তিশগড়, তেলেঙ্গানা এবং মহারাষ্ট্রের জঙ্গলে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে ধুন্ধুমার গুলির লড়াই চলছে মাওবাদীদের। চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে এখনও পর্যন্ত শুধুমাত্র বস্তার এলাকায় মৃত্যু হয়েছে ২১৩ জন মাওবাদীর। আত্মসমর্পণ করেছেন বহু মাও নেতা। এর মধ্যেই রবিবার হুঁশিয়ারি দিলেন অমিত শাহ। এদিন তিনি বলেন, “এবার বর্ষাকালেও মাওবাদীদের ঘুমোতে দেব না, আর কোনও কথা হবে না।” পাশাপাশি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাওবাদীদের আত্মসমর্পণ করে মূলধারায় ফিরে আসার আহ্বান জানান। তিনি আশ্বস্ত করেন, সরকার রাষ্ট্রের আত্মসমর্পণ নীতির অধীনে সমস্ত প্রতিশ্রুতি রক্ষা করবে।

শাহ বলেন, “অনেকেই ইতিমধ্যে শান্তির পথ বেছে নিয়েছেন। আমরা যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছি তার চেয়েও বেশি সাহায্য করব, তবে সহিংসতার পথ ছাড়লে এবং নতুন ছত্তিশগড় গঠনে যোগ দিলে তবেই।” এইসঙ্গে রাজ্যের যুবা প্রজন্মকে ফরেনসিক বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশুনো করতে আহ্বান জানান। শাহের দাবি, কেরিয়ার গড়তে সাহায্য করবে বিষয়টি।

উল্লেখ্য, ২০২৬ সালের মার্চ মাসের মধ্যে মাওবাদমুক্ত ভারত গড়ার বার্তা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এরপর থেকেই ছত্তিশগড়, অন্ধ্রপ্রদেশ, ঝড়খণ্ডের মতো মাওবাদী অধ্যুষিত রাজ্যগুলিতে মাওবিরোধী অভিযান ব্যাপক গতি পেয়েছে। গোয়েন্দাদের মতে, বর্তমানে ছত্তিশগড় তেলেঙ্গানা সীমানাবর্তী কারেগুট্টা পাহাড়ি এলাকা মাওবাদীদের অন্যতম শক্তঘাঁটি। এই এলাকা থেকে মাওবাদের শিকড় উপড়ে ফেলতে প্রায় ৩ হাজার আধাসেনাকে নামানো হয়েছে। ২১ এপ্রিল থেকে ওই অঞ্চলে শুরু হয়েছে অভিযান। পাশাপাশি দেশের বাকি অংশেও লাগাতার অভিযান চালাচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনী। অনুমান করা হচ্ছে, নিরাপত্তাবাহিনীর লাগাতার হামলার মুখে পড়ে পালটা গ্রামবাসীদের নিশানা করছে মাওবাদীরা।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *