বর্ধমান সংশোধনাগারের শৌচালয়ে পড়ে বিচারাধীন যুবকের দেহ, খুনের অভিযোগ পরিবারের

বর্ধমান সংশোধনাগারের শৌচালয়ে পড়ে বিচারাধীন যুবকের দেহ, খুনের অভিযোগ পরিবারের

সিনেমা/বিনোদন/থিয়েটার
Spread the love


সৌরভ মাজি, বর্ধমান: বর্ধমান কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে উদ্ধার পকসো মামলায় বিচারাধীন বন্দির ঝুলন্ত দেহ। সংশোধনাগারের শৌচালয়ের জানলার রড থেকে তাঁকে ঝুলতে দেখা যায়।  খুনের অভিযোগ তুলেছে পরিবার। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম শুভব্রত দত্ত। বাড়ি বীরভূমের সাঁইথিয়ায়। তিনি থাকতেন বর্ধমান শহরে। যুবক অঙ্কের শিক্ষক ছিলেন। বর্ধমানের পাড়াপুকুর এলাকার একটি কোচিং সেন্টারে পড়াতেন। গত অক্টোবর মাসে, শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তেলেন তাঁরই এক প্রাক্তন নাবালিকা ছাত্রী। ঘটনার ছয় মাস পরে অভিযোগ জানান একাদশ শ্রেণির ওই পড়ুয়ার পরিবার।

তদন্তে পুলিশ গ্রেপ্তার করে শিক্ষককে। পকসো আইনে মামলা শুরু হয়। চলছিল সাক্ষ্য গ্রহণ। আগামী ৬ ও ৭ আগস্ট পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য ছিল। তবে প্রিয় স্যরের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তোলা হয়েছে বলে দাবি করে আদালতে ঠাঁই দাঁড়িয়ে থাকতে গিয়েছে, তাঁর  ছাত্রছাত্রীদের।

এহেন স্যরের দেহ উদ্ধারের পর মৃতের মামা খুনের অভিযোগ তুলেছেন। তাঁর দাবি ভাগ্নের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ ছিল, তা মিথ্যা। আদলতে তা প্রমাণ হত। নাবালিকার পরিবার খুন করিয়েছে। ও আত্মহত্যা করতে পারে না। তিনি বলেন, “আমার ভাগ্নেকে খুন করা হয়েছে। পিছন থেকে জুতোর লেস দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো হয়েছে।” তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, “ওর মুখে কালো কাপড় ছিল। যে আত্মহত্যা করবে সে কেন মুখে কাপড় গুজবে। যাতে চিৎকার করতে না পারে সেই জন্য মুখে কাপড় ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে।”

মামার আরও দাবি, দেহ পা মাটির সঙ্গে ছোঁয়ানো ছিল। গলায় কাটা দাগ দেখতে পেয়েছেন। গলায় দড়ি দিলে জিভ, চোখের যে অবস্থা হয় তা কিছুই ভাগ্নের দেহে লক্ষ্য করেননি তিনি। তাঁর কথায়, “দীর্ঘ সাত-আট মাস ধরে যে এত অসুবিধা সহ্য করে থাকছিল, আর কয়েকমাস পর যার জামিন নিশ্চিন্ত সে আত্মহত্যা কেন করবে?” মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে সুরতহাল ও অন্যান প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করা হয়েছে। তদন্তে পুলিশ।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *