সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজনৈতিক ময়দানে একে-অপরের বিরুদ্ধে বহুবার আক্রমণ করছেন তাঁরা। দু’জনই ‘বেপোরোয়া’ বলে পরিচিত। একজন সদ্য বিবাহিত। অন্যজনের বিয়ে খবর পাওয়া গিয়েছে আজ, বৃহস্পতিবার। একজন দিলীপ ঘোষ। অন্যজন মহুয়া মৈত্র। তৃণমূল সাংসদের বিয়ের সংবাদ পাওয়ার পর শুভেচ্ছা জানালেন বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি ও তাঁর স্ত্রী রিঙ্কু মজুমদার। বললেন, “বয়স নয়, হৃদয়ের সঙ্গী পাওয়াই সবচেয়ে জরুরি।”
জার্মানির বার্লিনে লোকচক্ষুর আড়ালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন কৃষ্ণনগরের সাংসদ। সাত পাকে বাঁধা পড়েছেন পুরীর প্রাক্তন সাংসদ বিজেডির নেতা পিনাকী মিশ্রের সঙ্গে। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই শুভেচ্ছার বন্যা বইছে। তবে অনেকেই দেরিতে বিয়ে করা নিয়ে বিঁধছেন তাঁদের। দীলিপ ঘোষের বিয়ের সময়ও এই প্রশ্ন উঠেছিল। তবে তাতে কান দেননি দিলীপ ঘোষ। তেমনই মহুয়া ও পিনাকীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, “ওঁদের শুভেচ্ছা জানাই। ওঁদের নতুন জীবন সুখের হোক।” দিলীপের আরও সংযোজন, “বিয়ের জন্য স্বাভাবিক বয়স যে সময়টাকে ধরা হয়, সেই সময় বিয়ে না হলে খটকা লাগে। কিন্তু তা তো অপরাধ নয়। দু’জনের ইচ্ছেতেই বিয়ে হয়েছে। ওদের জীবন সুখের হোক।” স্বামীর রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীকে শুভেচ্ছা জানাতে ভোলেনি রিঙ্কু মজুমদারও। তিনি জানিয়েছেন, বিয়ের কোনও সঠিক বয়স হয় না। যে বয়সে হৃদয়সঙ্গী খুঁজে পাওয়া যায় সেটাই সঠিক সময়।
মহুয়া যাঁর সঙ্গে বিয়ে করছেন সেই পিনাকী মিশ্র কে তা নিয়েও কৌতূহলের শেষ নেই। পিনাকী মিশ্রের পরিচয় কিন্তু স্রেফ রাজনীতিবিদ নয়। তিনি নামী আইনজীবী। দেশের প্রায় সমস্ত আদালত কখনও না কখনও সওয়াল করেছেন। ১৯৯৬ সালে কংগ্রেসের টিকিটে পুরীর সাংসদ হন। পরে নবীন পট্টনায়েকের বিজু জনতা দলে যোগ দিয়ে ২০০৯, ২০১৪ ও ২০১৯ সালে সেই টিকিটে লড়েন পুরী থেকেই। এবার দু’জনেই নতুন জীবন শুরু করলেন।