সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শুধু বয়সজনিত ওষুধ নয়। রক্তচাপ অত্যন্ত কমে যাওয়ার ফলেও হৃদরোগে মৃত্যু হতে পারে শেফালির। প্রাথমিক তদন্তের পর এমনই মনে করছেন তদন্তকারীরা। যদিও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে না আসা পর্যন্ত নিশ্চিত কোনও কারণ জানা সম্ভব নয়।
গত ২৭ জুন, শেফালির বাড়িতে পুজো ছিল। সে কারণে উপোস করেছিলেন অভিনেত্রী। আবার সেদিন বিকেলেই বয়স কমানোর ওষুধ খেয়েছিলেন। বছরখানেক আগে থেকে নাকি এই চিকিৎসা চলছিল তাঁর। প্রতি মাসে চলত ওষুধপত্র। শুক্রবার রাতে ঘটে অঘটন। নিজের বাড়িতে আচমকা তিনি জ্ঞান হারান। তড়িঘড়ি স্বামী পরাগ ত্যাগী তাঁকে উদ্ধার করে মুম্বইয়ের এক বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়। তখন ঘড়ির কাঁটায় রাত ১১টা ১৫ মিনিট হবে। চিকিৎসক ‘কাঁটা লাগা গার্ল’কে মৃত বলে জানান। প্রাথমিকভাবে অনুমান, হৃদরোগে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। জানা গিয়েছে, বয়স কমানোর ওষুধ খেতেন শেফালি। সে কারণে তাঁর মৃত্যু হতে পারে। তবে এই একটিমাত্র কারণ নয়। মনে করা হচ্ছে, শেফালির রক্তচাপ অত্যন্ত কম থাকার ফলে হৃদরোগে মৃত্যু হতে পারে। অভিনেত্রীর চিকিৎসক অবশ্য জানিয়েছেন, যথেষ্ট স্বাস্থ্যসচেতন ছিলেন তিনি। মৃত্যুর মাসতিনেক আগে শেষবার চিকিৎসকের কাছেও যান।
এদিকে, ইতিমধ্যে পুলিশ ও ফরেনসিক টিম শেফালির বাড়িতে যায়। তল্লাশি চালিয়ে ত্বক উজ্জ্বল করার ওষুধ, ভিটামিন সি ইঞ্জেকশন, গ্যাস-অম্বলের ওষুধ, বয়স কমানোর ওষুধ বাজেয়াপ্ত করেছে। তার ফলে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই বেশি। আম্বোলি থানার পুলিশ সূত্রে খবর, কুপার হাসপাতালে ময়নাতদন্ত হয় শেফালির। সোমবারই হয়তো ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে পাওয়া যেতে পারে। তারপরই মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যাবে। প্রাথমিকভাবে পুলিশ মনে করছে, শেফালির মৃত্যু একেবারেই স্বাভাবিক। কোনও অস্বাভাবিকত্ব এখনও লক্ষ্য করা যায়নি। তবে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে আসার অপেক্ষায় রয়েছেন সকলে।