সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভয়াবহ বন্যার কবলে জম্মু ও কাশ্মীর, পাঞ্জাব। প্রাকৃতিক দুর্যোগ মুছে দিয়েছে মানুষের তৈরি সীমান্ত। ইরাবতী নদী যা ভারত ও পাকিস্তানের সীমান্ত নির্দিষ্ট করে ৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত সেই নদীবাঁধ ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে গিয়েছে। ভেঙে গুঁড়িয়ে গিয়েছে কাঁটাতার। বন্যার জেরে দুই দেশের চেকপোস্টও খালি পড়ে রয়েছে। সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে প্রয়োজনীয় সব জিনিসপত্র। এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই উদ্বেগ বেড়েছে। প্রশ্ন উঠছে চেকপোস্ট খালি করে দেওয়ায় সেখান থেকে ঢুকে পড়বে না তো অনুপ্রবেশকারীরা? কারণ অতীতে একই ঘটনা ঘটেছিল কারগিলে।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, চেকপোস্ট খালি থাকার কারণে ইতিমধ্যেই অনুপ্রবেশের চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে ওই সব অঞ্চলে। আধিকারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, সীমান্ত খালি থাকার সুযোগ নিয়ে মাদক পাচারকারীরা অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছিল। তবে বিএসএফ সতর্ক থাকার সে চেষ্টা ব্যর্থ হয়। বিএসএফের পাঞ্জাব ফন্টের ডিআইজি একে বিদার্থী বলেন, শুধুমাত্র গুরুদাসপুরে আমাদের ৩০ থেকে ৪০টি চেকপোস্ট জলের নিচে চলে গিয়েছে। তবে সময় থাকতেই সেনা সেখান থেকে চলে আসে। এছাড়া প্রায় ৩০ কিলোমিটার বাঁধ বন্যার জেরে ধ্বংস হয়েছে।
একাধিক গ্রামের মানুষ বন্যার থেকে বাঁচতে বিএসএফ ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছেন। কর্তারপুর সাহিব করিডোরের বিএসএফ পোস্টও জলের তলায়। সেখানকার জওয়ানরা আশ্রয় নিয়েছেন ডেরা বাবা নানক গুরুদ্বারে। ইরাবতী নদীতেও প্রবল জলচ্ছ্বাসের জেরে পাকিস্তান সীমান্তও গুরুতর আকার নিয়েছে। পাক রেঞ্জার্সরা বহু পোস্ট খালি করে চলে গিয়েছে।
গুরুদাসপুর ড্রেনেজ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, রবি নদীর ২৮টিরও বেশি বাঁধ ভেঙে গিয়েছে। শুধুমাত্র অমৃতসরে ১২টি বাঁধ ভেঙেছে। পাঠানকোটে দুই কিলোমিটার দীর্ঘ একটি বাঁধ ভেঙেছে। ডেরা বাবা নানকের কাছে প্রায় ৫০০ মিটার কাঁটাতারের বেড়া উপড়ে গেছে। বিএসএফের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী এক মাসের মধ্যে এটি আবার মেরামত করা হবে। ফিরোজপুর এবং অন্যান্য জেলায় বিএসএফ জওয়ানরা ত্রাণ ও উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এই ঘটনায় উদ্বেগ শুরু হয়েছে উন্মুক্ত সীমান্তের সুযোগ নিয়ে কারগিলের মতো অনুপ্রবেশ ঘটবে না তো? যদি বিএসএফ সূত্রে খবর, চেক পোস্টে কেউ না থাকলেও নজরদারি জারি রয়েছে সীমান্তে। কিছু ক্ষেত্রে প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে চলছে নজরদারি।