সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বন্ধ হয়ে গেল আমেরিকার সরকার! জানা গিয়েছে, সরকারি কার্যকলাপ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে গিয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেশে। অর্থাৎ দেশ পরিচালনার যাবতীয় কাজেও দাঁড়ি পড়ছে বুধবার থেকে। বিশ্লেষকদের মতে, এই ঘটনায় বহু মানুষের চাকরি যাবে। কারণ সরকার বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরেই ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, কাজ হারাবেন বহু মানুষ। অন্তত দেড় লক্ষ সরকারি কর্মী ছাঁটাই হতে পারেন বলে অনুমান।
ঠিক কী ঘটেছে আমেরিকায়? মার্কিন অর্থবর্ষ শেষ হয় ৩০ সেপ্টেম্বর। তাই মঙ্গলবার অর্থবর্ষের শেষ দিনে নিয়মমাফিক মার্কিন সরকারের জন্য বরাদ্দ তহবিল ফের নতুন করে স্থির করা হয়। কিন্তু নতুন অর্থবর্ষের জন্য তহবিল গঠনে একমত হতে পারেননি রিপাবলিকান এবং ডেমোক্র্যাট সেনেটররা। শেষ পর্যন্ত রিপাবলিকানরা প্রস্তাব দেন, অন্তত ২১ নভেম্বর পর্যন্ত সরকারি কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য একটি স্বল্পমেয়াদি তহবিল গঠন করা হোক। কিন্তু তাতেও সেনেটের সমর্থন জোগাড় করতে পারেননি ট্রাম্পের দলের সাংসদরা। তারই ফলশ্রুতি ‘শাটডাউন’।
বুধবার থেকে মার্কিন সরকার পুরোপুরি বন্ধ। যেহেতু তহবিল গঠিত হয়নি তাই সরকারি কর্মীদের বেতন দেওয়া যাবে না। যে সমস্ত সরকারি বিভাগগুলি জরুরি পরিষেবার তালিকায় পড়ে না, সেই বিভাগগুলি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবে। জরুরি পরিষেবাগুলি চললেও সেখানকার কর্মীরা প্রাপ্য বেতন পাবেন না। এই তালিকায় পড়ে আমেরিকার সেনাবাহিনী, সীমান্তরক্ষী এবং এয়ার ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণকারীরা। যতদিন শাটডাউন চলবে, ততদিন বিনা বেতনে কাজ করে যেতে হবে তাঁদের। উল্লেখ্য, ট্রাম্প প্রথম দফায় প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন ২০১৮ সালে মার্কিন সরকার বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। ৩৫ দিন পর্যন্ত জারি ছিল এই অচলাবস্থা।
দেশের এহেন দুর্দিনে ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, এই শাটডাউনের ফলে অনেক চাকরি যাবে। কারণ সরকারের জন্য যা কিছু অপ্রয়োজনীয় বা অতিরিক্ত, সেসব ছেঁটে ফেলা যাবে। অর্থাৎ শাটডাউনের সময়ে যে দপ্তরগুলি বন্ধ থাকছে, সেগুলি পুরোপুরি বন্ধ করে দিতে পারেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ফলে হাজারে হাজারে মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়তে পারেন। সেই সঙ্গে ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি, ডেমোক্র্যাটদেরই ছাঁটাই করা হবে। বিশ্লেষকদের মতে আগামী কয়েকদিনে দেড় লক্ষ সরকারি কর্মী ছাঁটাই হতে পারেন।