সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ডোনাল্ড ট্রাম্প। মসনদে প্রত্যাবর্তন করার পরই তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন, যে কোনও দেশের সঙ্গে পূর্বের সম্পর্ক মাথায় রেখে না চলবেন না তিনি। কখন কী করবেন সেটাই যেন অজানা। কিন্তু এই আচরণ কেবল অন্য দেশ নয়, নিজের লোকেদের সঙ্গেও করে চলেছেন ট্রাম্প। তাঁর সঙ্গে ধনকুবের এলন মাস্কের সুসম্পর্কের কথা কারও অজানা নয়। কিন্তু এবার সেই ‘বন্ধু’র জন্যও লক্ষ্মণরেখা টেনে দিলেন তিনি।
কীসের লক্ষ্মণরেখা? আসলে ট্রাম্প প্রশাসনের অন্যতম এক উদ্যোগ DOGE (Division Of Authorities Effectivity)। এই দপ্তরের দায়িত্ব মার্কিন সরকারি সংস্থাগুলির আমূল সংস্কার। যার মাথায় বসানো হয়েছিল টেসলা কর্তাকে। কিন্তু ৬ মার্চ, বৃহস্পতিবার একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্যাবিনেট বৈঠকে ট্রাম্প পরিষ্কার করে দিয়েছেন, DOGE-এর প্রধান হওয়া সত্ত্বেও এলন মাস্ক কোনওভাবেই নিয়োগ বা ছাঁটাইয়ের ক্ষেত্রে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না। তাঁর ভূমিকা কেবলই পর্যবেক্ষকের। মনে করা হচ্ছে, সাম্প্রতিক সময়ে মাস্কের যে আক্রমণাত্মক হাবভাব দেখা গিয়েছে, সেটাকে ভালোভাবে নিচ্ছেন না মার্কিন প্রেসিডেন্ট। আর তাই তাঁর গতিবিধিতে টেনে দিলেন লক্ষ্মণরেখা।
ক্ষমতা পেয়েই দেশের ব্যয় কমাতে উঠেপড়ে লেগেছিলেন মার্কিন ধনকুবের। ওই ডিপার্টমেন্টের অন্তর্গত আমেরিকার কর্মী ব্যবস্থাপনা দপ্তর বা অফিস অফ পার্সোনেল ম্যানেজমেন্ট থেকেই সরকারি কর্মীদের কাছে কাজের জবাবদিহি চেয়ে ইমেল যায়। সরকারি কর্মীদের ছাঁটাই করা হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়। এতে ক্ষুদ্ধ হন আমেরিকার প্রায় ২৩ লক্ষ সরকারি কর্মী। মাস্কের এমন হঠকারী সিদ্ধান্তে আদালতের দ্বারস্থ হন সরকারি কর্মীদের একাংশ। গত মাসের শেষে স্বস্তি পান তাঁরা। আদালতে ধাক্কা খেয়ে মুখ পোড়ে ট্রাম্প সরকারের। সপ্তাহ পেরতে না পেরতেই মাস্কের ডানা ছাঁটলেন ট্রাম্প।