সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারত-আমেরিকার ‘বন্ধুত্বে’র কথা বিশ্বের অজানা নয়। এই বন্ধন এবার আরও দৃঢ় হবে তাঁর আমেরিকার সফরের পর। এমনটাই জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ‘বন্ধু’ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও বৈঠক নিয়েও উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেন তিনি। পাশাপাশি নমো উচ্ছ্বসিত ফ্রান্স সফর নিয়েও। আজ সোমবার দুই দেশের উদ্দেশে যাত্রা করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
কর্মসূচি অনুযায়ী আজ প্রথমে মোদি পা রাখবেন ফ্রান্সে। ১২ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) পর্যন্ত তিনি থাকবেন প্যারিসে। সেখানে তিনি বৈঠকে বসবেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে। যোগ দেবেন ‘এআই অ্যাকশন’ সামিটে। এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনে থাকবেন অন্যান্য বিশ্বনেতা ও নামী প্রযুক্তিবিদরা। সকলেই কৃত্রিম মেধা নিয়ে মত বিনিময় করবেন। এনিয়ে আজ এক্স হ্যান্ডেলে মোদি লেখেন, ‘আগামী কয়েকদিন আমি ফ্রান্স ও আমেরিকায় থাকব। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দেব। ফ্রান্সে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এআই অ্যাকশন সামিট। এই সম্মেলন নিয়ে আমি খুবই আগ্রহী। আগামী দিনে ভারত-ফ্রান্স বন্ধুত্ব আরও মজবুত করতে প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে বৈঠকে বসব।’ বলে রাখা ভালো, ফ্রান্সের সঙ্গে দিল্লির সম্পর্ক বরাবরই বন্ধুত্বপূর্ণ। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে দিল্লিকে স্করপেনি সাবমেরিন ও রাফালে ফাইটার জেট দিতে চুক্তিবদ্ধ প্যারিস।
জানা গিয়েছে, ফ্রান্স থেকেই মোদি যাত্রা শুরু করবেন আমেরিকার। আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করবেন মোদি। দ্বিতীয়বার আমেরিকার মসনদে বসেছেন ট্রাম্প। এই সাফল্যের পর প্রথমবার বন্ধুর সঙ্গে দেখা করবেন নমো। এই সাক্ষাতে দুদেশের সম্পর্ক আরও মজবুত হবে এনিয়ে বিশ্বাসী তিনি। আমেরিকার নিয়েও আজ প্রধানমন্ত্রী এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘আমেরিকা সফরে আমাদের দুদেশের সম্পর্ক আরও মজবুত হবে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমাদের সহযোগিতা আরও বাড়বে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আমি বৈঠক করব। প্রথমবার তিনি যখন প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন তখন তাঁর সঙ্গে কাজ করার সমস্ত স্মৃতি আজও আমার মনে উজ্জ্বল।’
কয়েকদিন আগেই শতাধিক ‘অনুপ্রবেশকারী’ ভারতীয়কে আমেরিকা থেকে দেশে পাঠিয়েছিলেন ট্রাম্প। এখনও মার্কিন মুলুকে চলছে ধরপাকড়। এছাড়া ক্ষমতায় ফিরে ভারতের উপরে আরও শুল্ক চাপানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এই পরিস্থিতিতে মোদির আমেরিকা সফর যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। ফলে মোদি-ট্রাম্প বৈঠকে অভিবাসননীতি ও নয়া মার্কিন শুল্কনীতির প্রসঙ্গ ওঠে কি না সেদিকে তাকিয়ে বিশ্ব।