সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বন্দি তালিকায় নাম রয়েছে কুখ্যাত মাওবাদী থেকে বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সদস্যদের। রায়পুরের সেই ‘হাই সিকিউরিটি’ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে এবার পালাল আসামী। ফলে, স্বাভাবিকভাবেই নিরাপত্তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
জানা যাচ্ছে, পলাতক ওই আসামীর নাম চন্দ্রবীর সিং। ২০২১ সাল থেকেই অবৈধ মাদক রাখার অপরাধে জেলবন্দি ছিল সে। জেল আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে পাঁচজন বন্দিকে জেলের মহিলা শাখায় নির্মাণাধীন অংশে কাজ করানোর জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। সেই সুযোগেই আসামী চন্দ্রবীর প্রহরীদের ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে যায়। গত বছর জুলাই মাসে মাদক বিরোধী বিশেষ আদালতের বিচারক পঙ্কজ কুমার সিনহা তাকে মাদক পাচারের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করেন। ১৫ বছরের কারাদণ্ড ও ৩ লক্ষ টাকার জরিমানা করা হয়। জরিমানা দিতে ব্যর্থ হলে ৬ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় আদালত। কিন্তু ৪ বছর কারাদণ্ড ভোগ করেই জেল থেকে পলাতক চন্দ্রবীর সিং।
আসামীর এই পলায়নের ঘটনা জেলের নিরাপত্তা নিয়ে বড় প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। কারণ, রায়পুর সেন্ট্রাল জেলেই রয়েছে একাধিক মাওবাদী। কুখ্যাত লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাং-এর বেশ কিছু সদস্যও রয়েছে এই কেন্দ্রীয় কারাগারে। পাশাপাশি ছত্তিশগড়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেলের ছেলে চৈতন্য বাঘেলও এই জেলে বন্দি রয়েছেন। একজন সাধারণ বন্দি যদি এইভাবে পালিয়ে যায়। তাহলে এত ‘হাই প্রোফাইল’ বন্দিদের নিরাপত্তা কোথায় সে প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যাচ্ছে।
রায়পুর সেন্ট্রাল জেলে সবমিলিয়ে ১ হাজার ৫৮৬ জন বন্দির থাকার ব্যবস্থা থাকলেও সেখানে প্রায় ৩ হাজার বন্দি রয়েছেন। যাদের মধ্যে প্রায় ৮৫% বিচারাধীন। ছত্তিশগড়ের ৩৩টি জেলে বন্দির সংখ্যা ২০ হাজারের বেশি। যেখানে ধারণ ক্ষমতা মাত্র ১৪ হাজার ৮৮৩ জনের। ফলে প্রায় সবকটি জেলেই সমস্যা দেখা দিয়েছে, যা জেলের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে ক্রমশ চাপের মুখে ফেলছে।