বংশের ধারা বজায় রাখতে নাতি চাই! বেফাঁস মন্তব্য করে বিরোধীদের তোপে ‘মোদি ঘনিষ্ঠ’ চিরঞ্জীবি

বংশের ধারা বজায় রাখতে নাতি চাই! বেফাঁস মন্তব্য করে বিরোধীদের তোপে ‘মোদি ঘনিষ্ঠ’ চিরঞ্জীবি

জ্যোতিষ খবর/ASTRO
Spread the love


সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বংশের ধারা বজায় রাখতে নাতি চাই! ছেলের কাছে এমন বিতর্কিত আবদার করেছেন দক্ষিণী সুপারস্টার চিরঞ্জীবি। তার পরেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঘনিষ্ঠ এই অভিনেতাকে তোপ দেগেছে বিরোধীরা। কংগ্রেস সাংসদ জেবি মাথের থেকে সিপিএম নেত্রী বৃন্দা কারাট-অভিনেতার সমালোচনায় সুর চড়িয়েছেন সকলেই।

সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে চিরঞ্জিবীকে বলতে শোনা যায়, “বাড়িতে থাকলে নাতনিদের সঙ্গে খেলতে ইচ্ছে করে না। বরং নিজেকে লেডিস হোস্টেলের ওয়ার্ডেন বলে মনে হয়। আমি সবসময়ে চাই আর ছেলে রামচরণকে বলি- অন্তত এবার যেন তোর একটা ছেলে হয়। আমাদের পারিবারিক পরম্পরা বজায় রাখার জন্য একজন বংশপ্রদীপ চাই। আমার ভয় হয়, আবার যেন ওর কন্যাসন্তান না হয়।” প্রবীণ তারকার এহেন মন্তব্য ভাইরাল হতেই বিতর্কের ঝড়! চিরঞ্জিবীর লিঙ্গবৈষম্যমূলক মন্তব্যে অনুরাগীদের অসন্তোষ ক্রমশ বেড়ে চলেছে।

সেই মন্তব্যকে হাতিয়ার করে সুর চড়িয়েছেন বিরোধীরা। কংগ্রেস সাংসদ জেবি মাথুর বলেন, “গোটা ঘটনাটা খুবই দুঃখের। ছেলেরাই পরম্পরা বজায় রাখে-এমন মন্তব্য অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। পুত্র এবং কন্যা দুইই আমাদের সম্পদ। সকলকে নিয়েই আমরা গর্বিত।” সিপিএম নেত্রী বৃন্দা কারাট বলেন, “এমন বিখ্য়াত ব্যক্তিত্বরা যখন এমন লিঙ্গবৈষম্যমূলক, অনুভূতিহীন মন্তব্য করেন, সেটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। চিরঞ্জীবির মতো ব্যক্তিত্বের থেকে এমন মন্তব্য আশা করা যায় না। তিনি হয়তো মজার ছলে এই কথা বলেছেন, কিন্তু আমাদের দেশে এই মনোভাবকেই গুরুত্ব দেওয়া হয়। পুত্রসন্তান জন্ম দিতে চাপ দেওয়া হয় মহিলাদের উপর।” চিরঞ্জীবির ক্ষমা চাওয়া উচিত বলেও দাবি করেন বৃন্দা।

উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রীর বেশ ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত দক্ষিণী সুপারস্টার। দিনকয়েক আগে একসঙ্গে পোঙ্গল উৎসব পালন করেছেন তাঁরা। গত বছর অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে একমঞ্চে দেখা যায় তাঁদের। চিরঞ্জীবির ভাই পবন কল্যাণের দল জন সেনা হল বিজেপির জোটসঙ্গী। পদ্ম সম্মানও পেয়েছেন চিরঞ্জীবি। যদিও কংগ্রেসের টিকিটে রাজ্যসভার সাংসদ হয়েছেন তিনি, ঠাঁই পেয়েছেন মনমোহন সিংয়ের মন্ত্রিসভাতেও।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *