সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্যালেস্টাইনকে রাষ্ট্রের মর্যাদা দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেছে ফ্রান্স। এই ঘোষণায় তেলে-বেগুনে জ্বলে উঠেছে ইজরায়েল ও আমেরিকা। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল ম্যাক্রোঁর এই ঘোষণা হামাসের হয়ে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগের পাশাপাশি এবার পালটা হুঁশিয়ারি দেওয়া হল আমেরিকার তরফে। শুক্রবার ইজরায়েলে অবস্থিত মার্কিন রাষ্ট্রদূত জানালেন, “ফ্রান্সকে যদি আমরা ব্রিটিশ কলোনি বলে ঘোষণা করি তাহলে বিষয়টা কেমন হবে?”
ইজরায়েলে অবস্থিত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মাইক হাকাবি বলেন, ‘উনি যে মন্তব্য করেছেন তার পালটা আমরা যদি ফ্রান্সকে ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত ঘোষণা করি তাহলে ম্যাক্রোঁ কী বলবেন?’ তিনি সোশাল মিডিয়ায় আরও একটি পোস্টে লেখেন, উনি ওনার নিজের মতো করে প্যালেস্টাইনকে দেশের মর্যাদা দিতে চাইছেন। যদি তেমনটা চান তবে সেই দেশের অস্তিত্ব কোথায়? ওনার মতো করেই আমি ঘোষণা করছি ফ্রান্স হল ব্রিটিশ কলোনি।’ অন্যদিকে, ফ্রান্সের মন্তব্যের পালটা মার্কিন বিদেশসচিব মার্কো রুবিও বলেন, ‘হামাসের হয়ে কথা বলছে ফ্রান্স। তাদের পদক্ষেপ শান্তিস্থাপনের পক্ষে ক্ষতিকারক।’
২০২৩ সালে ইজরায়েলে হামাসের আক্রমণের পর তেল আভিভের পাশেই দাঁড়িয়েছিলেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট। হামাসের হামলার তীব্র নিন্দা করেছিলেন। কিন্তু গত কয়েকমাসে ইজরায়েল যেভাবে গাজায় আক্রমণ চালিয়েছে, তাতে বিরক্ত ম্যাক্রোঁ। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার সেদেশের প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল ম্যাক্রোঁ এক্স হ্যান্ডেলে জানান, গাজার যুদ্ধ অবিলম্বে বন্ধ করা দরকার। আমজনতাকে বাঁচানো দরকার। তাই আগামী সেপ্টেম্বর মাসে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় গাজাকে রাষ্ট্র হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা করবেন ম্যাক্রোঁ। এক্স হ্যান্ডেলে ম্যাক্রোঁ লেখেন, “মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ফিরুক, এটাই চায় ফ্রান্সের জনতা।”
উল্লেখ্য, ম্যাক্রোঁর এহেন সিদ্ধান্তের নেপথ্যে নির্বাচনী রাজনীতি রয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলির মধ্যে সবচেয়ে বেশি মুসলিম জনসংখ্যা রয়েছে ফ্রান্সে। ফলে গাজা-সহ মধ্যপ্রাচ্যের একাধিক ইস্যুতে সেদেশে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ কর্মসূচিও হয়ে থাকে। সম্ভবত সেই বিষয়টি মাথায় রেখেই প্যালেস্টাইনকে স্বীকৃতি দিতে চাইছেন ম্যাক্রোঁ। ইউরোপের বৃহত্তম দেশ হিসাবে প্যালেস্টাইনকে রাষ্ট্র হিসাবে ঘোষণা করতে চলেছে ফ্রান্স।