সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শুল্কযুদ্ধে কানাডার উপর বড়সড় আঘাত হানলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেন, কানাডিয়ান পণ্যের উপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক চাপানো হবে। ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকেই কানাডার সঙ্গে আমেরিকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে ব্যাপক অবনতি হয়েছে। শুল্ক চাপানো নিয়েও রণংদেহি অবস্থান নিয়েছে দু’পক্ষ।
আগামী ১ আগস্ট থেকে একাধিক দেশের উপর নতুন করে শুল্ক চাপাচ্ছে আমেরিকা। ইতিমধ্যেই ২২টি দেশের কাছে পৌঁছে গিয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্টের চিঠি। জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, থাইল্যান্ড, বাংলাদেশের পণ্যের উপর অতিরিক্ত শুল্ক বসানো হয়েছে। আলজেরিয়া, ব্রুনেই, ইরাক, লিবিয়া, মলডোভা, শ্রীলঙ্কা এবং ফিলিপিন্সের উপরেও আছড়ে পড়েছে শুল্কবোমা। সেই ধারা বজায় রেখেই বৃহস্পতিবার আরও একদফা শুল্ক চাপানোর ঘোষণা করেন ট্রাম্প।
নিজস্ব সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট লেখেন, ‘একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে আমেরিকার সঙ্গে সহযোগিতার পথ থেকে সরে এসেছে কানাডা। তাই সেদেশের পণ্যের উপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক চাপানো হল। এর পালটা দিতে যতটা কর বাড়াবে কানাডা, ততটা কর পালটা চাপাবে আমেরিকাও।’ প্রত্যেকবারের মতোই ট্রাম্প স্পষ্ট জানিয়ে দেন, জাতীয় সুরক্ষার কথা ভেবেই অতিরিক্ত শুল্ক চাপানো হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত ১৪ মার্চ কানাডার প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন মার্ক কারনি। প্রথম থেকেই চড়া শুল্ক নিয়ে ট্রাম্পের বিরোধিতা করেছেন তিনি। সাফ জানিয়েছিলেন, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের অনেকদিনের সম্পর্ক। সামরিক সহযোগিতা, নিরাপত্তা, অর্থনীতি-নানা বিষয়ের ভিত্তি করে দুই দেশের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। কিন্তু সেই সম্পর্ক এখন শেষ। কারণ আগামী দিনে আমেরিকা কী করবে, সেটা নিয়ে স্পষ্ট ধারণা নেই।” ফলে আগামী দিনে আমেরিকার উপর পালটা শুল্ক চাপাবে কানাডা, রয়েছে এমন সম্ভাবনাও।