সুকুমার সরকার ও সুরজিৎ দেব, ঢাকা ও ডায়মন্ড হারবার: ইলিশ ধরতে গিয়ে ফের বাংলাদেশ জলসীমায় আটক কাকদ্বীপের একটি ট্রলার, কার্যত বন্দি ওই ট্রলারে থাকা মৎস্যজীবীরা। এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই উদ্বেগ ছড়িয়েছে মৎস্যজীবীদের পরিবারে। সপ্তাহখানেক আগে নামখানা থেকে গভীর সমুদ্রে ইলিশ ধরতে গিয়েছিল কাকদ্বীপের হারউড পয়েন্টের একটি ট্রলার। তার নাম এফবি পারমিতা। ওই ট্রলারে ছিলেন ১৪ জন মৎস্যজীবী। সূত্রের খবর, বাংলাদেশের ফেয়ারওয়ে বয়া সংলগ্ন গভীর সমুদ্র থেকে মৎস্যজীবীদের আটক করেছে বাংলাদেশ নৌ বাহিনী।
এদিকে, সমুদ্রে টহল দেওয়ার সময় ‘বানৌজা বিষখালি’ নামের বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজ এফবি পারমিতা ট্রলারটিকে দেখতে পেয়ে আটক করে। ওই ট্রলারে থাকা আটক হওয়া ১৪ জন মৎস্যজীবীকে মংলা পোর্টের দিগরাজ নৌঘাঁটিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে ওই মৎস্যজীবীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সোমবার তাঁদের বাংলাদেশের বাগেরহাট আদালতে তোলা হতে পারে।
উল্লেখ্য, এর আগে ফেয়ারওয়ে বয়ার কাছ থেকে ১৪ জুলাই এফবি ঝড় ও এফবি মঙ্গলচণ্ডী নামের দু’টি ট্রলার আটক করা হয়। সেসময় ওই দু’টি ট্রলারের ৩৪ জন মৎস্যজীবীকে আটক করেছিল বাংলাদেশ নৌবাহিনী। বারবার একই ঘটনা ঘটায় উদ্বিগ্ন প্রশাসন ও মৎস্যজীবী সংগঠনগুলি। কয়েকদিন আগেই দু’দেশের আন্তর্জাতিক জলসীমা নিয়ে মৎস্যজীবীদের সচেতন করতে কাকদ্বীপে একটি শিবির হয়। সম্প্রতি আটক হওয়া এফবি পারমিতা নামের ট্রলারের মৎস্যজীবীদের কীভাবে দেশে ফেরানো হবে, তা নিয়ে বৈঠক চালাচ্ছে মৎস্যজীবী সংগঠনগুলি। ওই মৎস্যজীবীদের কোথায় রাখা হয়েছে তা নিয়েও নিশ্চিত নয় মৎস্যজীবীদের সংগঠনগুলি। এই খবর কাকদ্বীপে পৌঁছাতেই কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ ওই ট্রলারে থাকা মৎস্যজীবীদের পরিবারগুলিতে।