সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আরও একবার দ্বন্দ্বে জড়ালেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মহুয়া মৈত্র। এবার নারীবিদ্বেষ নিয়ে বাদানুবাদ তুঙ্গে দু’জনের। রবিবার সকালে এক সংবাদমাধ্যমে যেন বোমা ফাটালেন শ্রীরামপুরের সাংসদ।
আসলে বাকবিতণ্ডার সূত্রপাত কসবা কাণ্ড নিয়ে। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রথমে মুখ খোলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “সহপাঠী যদি সহপাঠিনীকে ধর্ষণ করে, তা হলে নিরাপত্তা দেবে কে?” কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রও বিতর্কিত মন্তব্য করেন। দলের বিধায়ক কিংবা সাংসদের কারও নাম না করেই নারীবিদ্বেষ নিয়ে আবার সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করে মহুয়া। তিনি লেখেন, “ভারতে নারীবিদ্বেষ দলের গণ্ডিতে আটকে নেই। কিন্তু তৃণমূলকে অন্যদের থেকে আলাদা করে একটাই বিষয়, আমরা এই ধরনের বিরক্তিকর মন্তব্যের প্রতিবাদ করি, তা সে যে-ই করুন না কেন।”
Misogyny in India cuts throughout get together traces. What differentiates @AITCofficial is that we condemn these disgusting feedback regardless of who makes them. https://t.co/2AQ59fQK4w
— Mahua Moitra (@MahuaMoitra) June 28, 2025
তৃণমূলের তরফেও কল্যাণ কিংবা মদন মিত্র উভয়ের মন্তব্যের জোরাল বিরোধিতা করা হয়।
The remarks made by MP Kalyan Banerjee and MLA Madan Mitra in regards to the heinous crime at South Calcutta Legislation Faculty had been made of their private capacities. The get together unequivocally disassociates itself from their statements and strongly condemns the identical. These views don’t…
— All India Trinamool Congress (@AITCofficial) June 28, 2025
তবে তারপরেও দ্বন্দ্বে জড়িয়েছেন কল্যাণ ও মহুয়া। সাংসদ কল্যাণ বলেন, “আমি নারীবিদ্বেষী? আমি সব নারীকে সম্মান করি। কিন্তু মহুয়া মৈত্রকে ঘৃণা করি। যাঁকে পার্লামেন্টের এথিক্স কমিটি বহিষ্কার করে তাঁকেই ঘৃণা করি।” এছাড়া শ্রীরামপুরের সাংসদ মহুয়া মৈত্রর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। এমনকী কালীগঞ্জের উপনির্বাচনের সময় মহুয়ার ‘কলকাঠি’তেই সেখানে প্রচার করতে যেতে পারেননি বলেই দাবি শ্রীরামপুরের সাংসদের। যদিও পালটা মহুয়ার তরফে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন