সঞ্জিত ঘোষ, শান্তিপুর: প্রতিবেশী সিভিক ভলান্টিয়ারের গাছ থেকে ফুল তোলার ‘অপরাধে’ মহিলাকে কান ধরে ওঠবোস কাণ্ডে জারি ধরপাকড়। এই ঘটনায় সিভিক ভলান্টিয়ার-সহ তার পরিবারের তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়। শান্তিপুর থানার ওই সিভিক ভলান্টিয়ার মিলন করাতিকে ক্লোজ করা হয়েছে। সিভিক ভলান্টিয়ারের দাদা অসীম করাতিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজে চলছে জোর তল্লাশি।
সিভিক ভলান্টিয়ার এবং নিহত ওই মহিলা প্রতিবেশী। শান্তিপুর থানার নৃসিংহপুর মধ্যপাড়া এলাকার বাসিন্দা দু’জনে। মহিলার পরিবারের দাবি, বৃহস্পতিবার ভোরবেলা ওই সিভিক ভলান্টিয়ারের বাড়িতে ফুল তুলতে যান মহিলা। অভিযোগ, তা দেখে ফেলেন ওই সিভিক ভলান্টিয়ার। অভিযোগ, ফুল তোলার অপরাধে মহিলার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয়। তাঁকে গাছে বেঁধে রেখে কান ধরে ওঠবোস করানো হয় বলেও অভিযোগ। বেশ কিছুক্ষণ বাড়ি ফেরেন মহিলা। পরিবারের লোকজনের দাবি, তারপর থেকে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন।
এরপর শনিবার ভোরে পরিবারের লোকজন বাড়ি থেকে তাঁর ঝুলন্ত উদ্ধার করেন। খবর দেওয়া হয় শান্তিপুর থানায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। মৃতার পরিবারের লোকজনের দাবি, অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার হওয়ায় প্রায়শয়ই পুলিশের হুমকি দিত। এলাকায় ‘দাদাগিরি’ও করত সে। অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে সরব মৃতের পরিবারের লোকজন। শান্তিপুর থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। তবে এখনও অধরা সিভিক ভলান্টিয়ার। বলে রাখা ভালো, এর আগে পাঁশকুড়ায় চিপস চুরির অপবাদে ভরা বাজারে খুদেকে মারধর করে সিভিক ভলান্টিয়ার। বাড়ি ফিরে অভিমানে স্কুলপড়ুয়া আত্মঘাতী হয় বলেই দাবি পরিবারের। এখনও ওই সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। ঘটনার পর থেকে বেপাত্তা অভিযুক্ত।