স্টাফ রিপোর্টার: মঙ্গলবার গভীর রাতে ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনকে চিঠি পাঠায় ফিফা। চিঠি না বলে সেটা পত্রবোমা বলাই ভালো। তারপর থেকে ভারতীয় ফুটবলমহলে প্রবল হইচই শুরু হয়ে গিয়েছে। কল্যাণের বিরুদ্ধে শুরু থেকেই সরব হয়েছিলেন ভারতের প্রাক্তন ফুটবল তারকা বাইচুং ভুটিয়া। ফিফার উপর কিছুটা হতাশও তিনি। বাইচুংয়ের মতে, ফিফা যদি এরকম কড়া পদক্ষেপ আগে নিত, তাহলে ভারতীয় ফুটবল এতটা খারাপ জায়গায় যেত না।
বুধবার সংবাদ প্রতিদিন-কে বাইচুং ফোনে বলছিলেন, “আমি তিন বছর ধরে এটা নিয়ে চিৎকার করে আসছি। শুরু থেকে বলে আসছিলাম, সংবিধান ছাড়া একটা অস্থায়ী কমিটি ফেডারেশন চালাচ্ছে। যা কোনওভাবে মেনে নেওয়া যায় না। এর আগে অনূর্ধ্ব সতেরো মেয়েদের বিশ্বকাপের সময়ও ভারতীয় ফুটবলে নির্বাসনের কবলে পড়েছিল। তখন বিশ্বকাপের জন্য তড়িঘড়ি করে একটা অস্থায়ী কমিটি তৈরি করা হয়। ভাবতে পারছেন, ২০১৭ সাল থেকে ফেডারেশন চলছে কোনও সংবিধান ছাড়াই। কল্যাণের মতো একজন অযোগ্য ব্যক্তি ভারতের ফুটবল চালাচ্ছে। কত নিচে নেমে গিয়েছে এখন ভারতীয় ফুটবল। আমার মনে হয়, ফিফার আরও অনেক আগে কঠোর হওয়া উচিত ছিল। এখন যে চিঠি দেওয়া হয়েছে, সেটা অনেক আগে দেওয়া দরকার ছিল। তাহলে ভারতীয় ফুটবলের এতটা ক্ষতি হত না। ফিফা এখন যে অভিযোগ তুলেছে, সেটা আমি গত কয়েক বছর ধরে বলে আসছি। এই তো কিছু দিন আগে সাংবাদিক সম্মেলনেও একই কথা বলেছিলাম। একজন অযোগ্য লোককে ভারতীয় ফুটবল চালানোর দায়িত্ব দিলে যা হওয়ার তাই হয়েছে। কল্যাণ ভারতীয় ফুটবলকে যে জায়গায় নামিয়ে দিয়েছে, এখান থেকে বের করে নিয়ে আসতে খুব সমস্যা হবে। তা সে যে-ই আসুন না কেন।”
ভারতীয় ফুটবলে চরম অচলাবস্থা তৈরি হওয়ার পর চেষ্টা করা হচ্ছে কোনওভাবে তড়িঘড়ি করে এই সমস্যার সমাধান করতে। বাইচুং পরিষ্কার বলে দিয়েছেন, তাড়াহুড়ো করতে গেলে তার ফল আরও খারাপ হতে পারে। বলেছেন, “এখন একটা হাওয়া তোলা হচ্ছে। কোনও মতে সব কিছু মিলিয়ে আইএসএল করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমার বক্তব্য হল তিন বছর ধরে তো সব কিছুই হল, কিন্তু ভারতীয় ফুটবলে কী উন্নতি হয়েছে? আমার তো মনে হয়, তাড়াহুড়ো করে সিদ্ধান্ত নিতে গেলে আরও ভুল হবে। দুটো মাস ফুটবল বন্ধ থাকলে কী হবে? যা খারাপ হাল হয়ে রয়েছে, তার চেয়ে আর কত খারাপ হবে? বরং একটু সময় নিয়ে সঠিকভাবে সংবিধান তৈরি করা হোক। যাতে ভবিষ্যতে আবারও সমস্যায় না পড়তে হয়। দায়িত্বে যিনিই আসুন আমার কোনও অসুবিধে নেই। শুধু সেটা যেন গণতন্ত্র মেনে হয়। ভোটে জিতে আসতে হবে।”