স্টাফ রিপোর্টার: তিনি সুনীল ছেত্রী। আগের মতো প্রত্যেক ম্যাচে হয়তো নব্বই মিনিট খেলেন না। তবুও বেঙ্গালুরু এফসি কোচ জেরার্ড জারাগোজার কাছে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলারের নাম সুনীল। এখনও নাকি প্রত্যেক দিন অনুশীলনে সুনীল অবাক করেন বেঙ্গালুরু কোচকে। এবারের আইএসএলের সর্বোচ্চ ভারতীয় গোলদাতাও সুনীলই। করে ফেলেছেন ১৪ গোল। শনিবার গোল করলে সেই সংখ্যাটা বাড়বে। ফাইনালে নামার আগে বেঙ্গালুরুর অনুশীলনেও সুনীলকে ঘিরেই যেন সংবাদমাধ্যমের ব্যস্ততা তুঙ্গে। অথচ তাঁকেই সংবাদমাধ্যমের সামনে আনল না বেঙ্গালুরু ম্যানেজমেন্ট। বরং রাতে দলের স্যোশাল মিডিয়া পেজ থেকে ছোট্ট বার্তা এল।
কিন্তু আদৌ কি তিনি প্রথম একাদশে থাকবেন শনিবার। নাকি আগের ম্যাচের মতো তাঁকে পরিবর্ত হিসাবে নামিয়ে চমক দেবেন জারাগোজা? এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে সংযুক্ত সময়ে যদি শূন্যে ভেসে গিয়ে হেডে ওই দুর্দান্ত গোলটা না করতেন সুনীল, তাহলে কী বেঙ্গালুরু ফাইনালে নামত? ভরা সাংবাদিক সম্মেলনে সেকথা অস্বীকার করেননি বেঙ্গালুরু কোচও।
গতবার ১১ এপ্রিল মোহনবাগানের কাছে ঘরের মাঠে চার গোল খেয়েছিল বেঙ্গালুরু। তার ঠিক এক বছর এক দিনের মাথায় আবার সেই মোহনবাগানের বিরুদ্ধেই নামছেন সুনীলরা। জারাগোজা মনে রেখেছেন সেই ১১ এপ্রিলের ফলাফলটা। মুখে না বললেও কার্যত প্রতিশোধ হিসাবেই এই ম্যাচটাকে দেখছেন তারা। সুনীলকে কি প্রথম থেকে খেলাবেন শনিবার? তা এখনও চূড়ান্ত না করলেও তাঁকে ঘিরেই যে অঙ্ক কষছে বেঙ্গালুরু তার আভাস জারাগোজার কথাতেই মেলে। তিনি প্রাক্-ম্যাচ সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, “সুনীল আমার কাছে বড় বিস্ময়। প্রতিদিন অনুশীলনে ও আমার ভাবনা-চিন্তাকে ওলোট পালোট করে দেয়। আমরা এখন আর আশা করতে পারি না একটা ম্যাচে ও দীর্ঘক্ষণ খেলবে। সেমিফাইনালেও গোল করেছে। ওর জন্যই আমরা ফাইনালে এসেছি। আশা করব, শনিবারের রাতটা সুনীলের হবে।”
সুরেশ সিংয়ের চোট রয়েছে। শনিবার শুরু থেকে খেলার সম্ভাবনা কম। ক্লান্তি রয়েছে রাহুল ভেকেরও। নিখিল পুজারি চোটের জন্য আগেই বাইরে চলে গিয়েছেন। সুনীল শুরু না করলে শনিবার প্রথম একাদশে শুরু করবেন শিবশক্তি। তবে ঘরের মাঠে মোহনবাগান প্রবল জনসমর্থন পাওয়াটাকে খুব বেশি গুরুত্ব দিতে নারাজ জারাগোজা।