ফাঁসি নয়, কেন সঞ্জয়কে আমৃত্যু কারাদণ্ড? এহেন নৃশংস ঘটনায় কী ব্যাখ্যা বিচারকের?

ফাঁসি নয়, কেন সঞ্জয়কে আমৃত্যু কারাদণ্ড? এহেন নৃশংস ঘটনায় কী ব্যাখ্যা বিচারকের?

সিনেমা/বিনোদন/থিয়েটার
Spread the love


রমেন দাস: ফাঁসি নয়, যাবজ্জীবন। আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হওয়া সঞ্জয় রায়কে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিল শিয়ালদহ আদালত। কিন্তু কেন? সোমবার রায় ঘোষণার সময় বিচারক অনির্বাণ দাস বলেন, “দেখে মনে হয়নি বিরলতম ঘটনা।” বলে রাখা ভালো, ভারতীয় ন্যায় সংহিতার অনুযায়ী, ‘রেয়ারেস্ট অফ দ্য রেয়ার’ বাংলা তর্জমায় বিরলতম অপরাধের ক্ষেত্রে ফাঁসির সাজা দেওয়া হয়। কোন অপরাধ কতটা ভয়াবহ? সমাজে তার নেতিবাচক প্রভাব কতটা? সাক্ষ্য-প্রমাণ কতটা জোরাল? সেই সমস্ত সিদ্ধান্ত বিচারকই নেন। 

এদিন তুমুল হট্টগোলের মধ্যে শিয়ালদহ আদালতের ২১০ নম্বর কক্ষে সাজা ঘোষণা করেন বিচারক। প্রায় ৩২ মিনিট সিবিআই, নির্যাতিতার পরিবার এবং সঞ্জয়ের আইনজীবীরা সওয়াল জবাব করেন। এজলাসে নিজের কথা তুলে ধরে সঞ্জয়। কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে  কেঁদেও ফেলে। নিজেকে বারবার নির্দোষ বলে দাবি করেছেন। তার আইনজীবীরা মক্কেলকে সংশোধনের সুযোগ দেওয়ার আবেদন করেছিলেন। এরপর ২ টো ৪৫ মিনিটে রায় ঘোষণা করেন বিচারক। 

এদিকে সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে কোনও প্রত্যক্ষ প্রমাণ নেই। পারিপার্শ্বিক প্রমাণের উপর ভিত্তি করেই আর জি কর মামলার রায়দান হয়েছে। বিবাদী পক্ষের আইনজীবী কবিতা সরকার, সেঁজুতি চক্রবর্তীরা বারবার মক্কেলকে সংশোধনের সুযোগ দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করছিলেন। সেই আবেদন মাথায় রেখেই এই রায়দান।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *