সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিলামে দর উঠেছিল ২৭ কোটি। তাঁকে অধিনায়ক করেছিল লখনউ সুপার জায়ান্টস। বলা ভালো, গোটা মরশুম সেই আস্থার দাম দিতে পারেননি তিনি। তাঁর ব্যাট কথা বলেনি। তাঁর অধিনায়কত্বে লখনউয়ের ভাগ্যোদয় হয়নি। কিন্তু মরশুমের শেষ ম্যাচে এসে নিজের জাত চিনিয়ে দিলেন তিনি। শুধু ফর্মে ফিরলেন না, রীতিমতো হইহই করে ফিরলেন। আরসিবির বিরুদ্ধে মাত্র ৫৫ বলে সেঞ্চুরি করে ফেললেন তিনি।
এমনিতে মঙ্গলবারের ম্যাচটা আরসিবির জন্য যতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল, সে তুলনায় লখনউয়ের জন্য নয়। বলা ভালো, এটা লখনউয়ের জন্য নেহাতই নিয়মরক্ষার ম্যাচ। সেই ম্যাচে পন্থ প্রাণ খুলেই ব্যাট করলেন। ৩ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে একেবারে শুরু থেকেই মারকুটে মেজাজে খেলে গেলেন তিনি। লখনউ যে ২২৭ রান করলেন সেটার অর্ধেকের বেশি এল পন্থের ব্যাটেই। মাত্র ৬১ বলে ১১৮ রান করলেন তিনি। সেঞ্চুরির ইনিংসে ১১টি বাউন্ডারি আর ৮টি ওভার বাউন্ডারি হাঁকালেন তিনি।
এমনিতে মরশুমের শুরু থেকেই তাঁর ব্যাট শুধু হতাশাই দেখেছে। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মনে হচ্ছিল, অধিনায়কত্ব বাড়তি চাপ তৈরি করছে তাঁর উপর। নিজের ব্যাটিং পজিশনও ঠিক করতে পারেননি গোটা মরশুম। শেষ ম্যাচে যেন সবটাই বদলে গেল। একেবারে স্বচ্ছন্দে, মারকুটে ব্যাট করতে দেখা গেল তাঁকে। নিজের ট্রেডমার্ক এক হাতের ছক্কাও এদিন হাঁকিয়েছেন তিনি। এটা কি শুধুই চাপমুক্ত হয়ে খেলার ফল। নাকি ভারতীয় টেস্ট দলের সহ-অধিনায়কত্ব তাঁকে চাঙ্গা করে দিয়েছে?