সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রথমার্ধে ম্যাচের রাশ ছিল ইস্টবেঙ্গলের হাতে। বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে এক গোলে এগিয়েও ছিল অস্কার ব্রুজোর দল। কিন্তু পার্থক্য গড়ে দিল প্রথমার্ধের সংযুক্তি সময়ে দিয়ামান্তোকোসের লাল কার্ড। তারপরই ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় ইস্টবেঙ্গল। একেবারে শেষ মুহূর্তে পেনাল্টি থেকে সমতা ফেরান সুনীল ছেত্রী। আর সলিল সমাধি হয়ে গেল ইস্টবেঙ্গলের প্লে অফের স্বপ্নও। ম্যাচের পর অস্কার ব্রুজো জানালেন, দিয়ামান্তোকোসের লাল কার্ড দেখার ঘটনাই সেরা ছয়ের দৌড় থেকে ছিটকে দিল।
সাংবাদিক সম্মেলনে ইস্টবেঙ্গল কোচ অস্কার ব্রুজো বলেন, “সেরা ছয়ের বাইরে চলে যাওয়ার প্রধান কারণ আমাদের একজন খেলোয়াড়ের অপ্রত্যাশিত আচরণ। যেটা হওয়া উচিত ছিল না। যখন দল আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছিল, আক্রমণ চালিয়ে সুযোগ তৈরি করছিল, খেলার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিল, তখন সেই ভুলটা আমাদের সেরা ছয়ে থাকার সম্ভাবনা শেষ করে দেয়।”
এমন নয় যে, এই ম্যাচ জিতলেই প্লে অফে চলে যেত ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু ৩ পয়েন্ট পেলে অন্তত আশা বেঁচে থাকত। সেখানে দ্বিতীয়ার্ধে ১০ জনে লড়াই করে তারা। দলের এই পারফরম্যান্সে আশাবাদী স্প্যানিশ কোচ। বলেন, “আমার খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সের জন্য আমি গর্বিত। আজকের পারফরম্যান্সই আমাদের পথ দেখাচ্ছে। যদি আমরা এভাবেই খেলতে থাকি এবং নির্দিষ্ট কিছু জায়গায় উন্নতি করতে পারি, তাহলে আমি বিশ্বাস করি, ইস্টবেঙ্গল এখন ভালো কিছু করার জন্য তৈরি।”
এক ম্যাচ বাকি থাকলেও ইস্টবেঙ্গলের লড়াই শেষ। পরের লক্ষ্য কী? পরবর্তী চ্যালেঞ্জ এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগে, তা স্পষ্ট জানিয়ে অস্কার বলেন, “আমরা আজ পর্যন্ত পুরোপুরি আইএসএলে সেরা ছয়ে থাকার লক্ষ্যেই মনোনিবেশ করেছিলাম। আমরা চেয়েছিলাম যে সেরা ছয়ে জায়গা করে নিতে পারব। তবে এখন যেহেতু সেই লক্ষ্য অর্জন সম্ভব নয়, আমাদের সামনে এখন একটিই লক্ষ্য—এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগ। এখন আমাদের লক্ষ্য হবে খেলোয়াড়দের মানসিক ও শারীরিকভাবে চাঙ্গা করে তোলা।”
শুধু প্লে অফের লড়াই থেকে ছিটকে যাওয়া নয়, এই ম্যাচে দলের আরও একটি ক্ষতি হয়েছে। তা হল আনোয়ার আলির চোট। এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগে কি আনোয়ার খেলতে পারবেন? লাল-হলুদের কোচ বলেন, “আনোয়ার আলির চোট আমাদের জন্য বড় ধাক্কা। আনোয়ার ধীরে ধীরে ফর্মে ফিরছিল। আগামীকাল আমরা ওর এমআরআই করাব, যাতে আরও ভালভাবে বোঝা যায় চোট কতটা গুরুতর। আপাতত মনে হচ্ছে ওর হ্যামস্ট্রিংয়ে সমস্যা হয়েছে, কারণ ও হাঁটতেও ব্যথা অনুভব করছে। আমার ধারণা, আমরা অন্তত কয়েক সপ্তাহের জন্য আনোয়ারকে পাব না।”