সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনার ক্ষত থেকে এখনও সেরে উঠতে পারেনি দেশ। তার মধ্যেই আবারও মাঝআকাশে ভেঙে পড়ার মতো অবস্থায় চলে গিয়েছিল আরও এক যাত্রীবাহী বিমান! বুধবার ভুবনেশ্বর থেকে কলকাতামুখী বিমান টেক অফের ঠিক আগেই আচমকা ঝাঁকুনি দিয়ে থেমে যায়। দীর্ঘক্ষণ বসিয়ে রাখার পরে অবশেষে বিমান থেকে নামানো হয় যাত্রীদের। পরে জানা যায়, বড়সড় বিপদের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে বিমানটি।
বুধবার বিকেল সাড়ে চারটেয় ভুবনেশ্বর থেকে কলকাতায় আসার কথা ছিল ইন্ডিগো এয়ারলাইন্সের বিমানের। নির্দিষ্ট সময়ে রানওয়েতে ছুটতেও শুরু করে উড়ান। কিন্তু টেক অফের আগেই প্রবল ঝাঁকুনি দিয়ে বিমান থেমে যায়। প্রাথমিকভাবে যাত্রীদের জানানো হয়, মিনিট দশেকের মধ্যে ফের বিমান উড়বে। কিন্তু খানিক পরে আবার বলা হয়, টেক অফের সময়ে পাখির সঙ্গে ধাক্কা লেগেছে। এইভাবে নানা কথায় ভুলিয়ে অন্তত এক ঘণ্টা বিমানেই বসিয়ে রাখা হয় যাত্রীদের।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই বিমানের এক বাঙালি যাত্রী জানান, “বারবার নানারকম কথা বলছিলেন বিমানসেবিকারা। বিমান কখন ছাড়বে, আদৌ ছাড়বে কিনা সেই নিয়ে স্পষ্টভাবে কিছু জানাচ্ছিলেন না। তারমধ্যেই হঠাৎ দেখি যাত্রীদের লাগেজ বের করা হচ্ছে। তখন বুঝতে পারি, এই বিমানটা আর ছাড়বে না। কিছুক্ষণ পরে যাত্রীদের নামানো হয় বিমান থেকে। কেন বিমান উড়ল না, তখনও পর্যন্ত সেই নিয়ে স্পষ্টভাবে আমরা কিছুই জানতে পারিনি।”
বিমান থেকে নামার সময়ে বিমানসেবিকাদের কথোপকথন কানে আসে ওই যাত্রীর। তখনই বুঝতে পারেন, ভয়াবহ কিছু ঘটতে পারত এই বিমানযাত্রায়। ওই যাত্রীর কথায়, “বিমানসেবিকারা বলাবলি করছিল, এই প্লেন যদি আকাশে উড়ত তাহলে ক্র্যাশ করত। তারপর যখন আমরা বিমানবন্দর থেকে বেরচ্ছি, তখন এক কর্মচারীর থেকে জানতে পারি যে আমাদের বিমানের একটি টায়ার ফেটেছে। এত জোরে তার আওয়াজ হয়েছে যে বহুদূর থেকে শোনা গিয়েছে।” ফলে প্রশ্ন উঠছে, এই বিমানগুলি উড়ানের সময়ে কি আদৌ যথাযথ পরীক্ষা করা হয়? কেন বারবার ত্রুটির মুখে পড়ে বিমানগুলি?