অভিষেক চৌধুরী, কালনা: একেই বলে ‘রাখে হরি, মারে কে’। প্রেমে বাধা পেয়ে গলায় দড়ি গিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেও, জীবনের অন্তিম লগ্নে প্রাণে রক্ষা পেল যুগল। ত্রাতা হয়ে উঠল কালনা থানার পুলিশ। সোমবার রাতে কালনার দক্ষিণ দুর্গাপুর এলাকা থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় এক যুবক এবং কিশোরীকে উদ্ধার করে পুলিশ। তড়িঘড়ি তাঁদের ভর্তি করানো হয় কালনা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, যুবকের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল হলেও কিশোরী এখনও সংকটমুক্ত নয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কালনা থানা এলাকার বাসিন্দা বছর তেইশের ওই যুবকের সঙ্গে এলাকারই এক কিশোরীর প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। কিন্তু কিশোরীর পরিবার কোনওভাবেই তা মেনে নিতে পারেনি। দু’জনের সম্পর্কের মাঝে তারা বাধা হয়ে দাড়ায়। অভিযোগ, গত সোমবার কিশোরী তার প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যায়। তারপরই কালনা থানার দ্বারস্থ হয় তার পরিবার। যুবকের বিরুদ্ধে তারা অপহরণের অভিযোগ দায়ের করে। এই পরিস্থিতিতে দু’জনেই সিদ্ধান্ত নেন, তাঁরা নিজেদের শেষ করে দেবে। সেই লক্ষ্যেই কালনার দক্ষিণ দুর্গাপুর এলাকায় রাস্তার ধারে একটি গাছে গলায় দড়ি দেয় তাঁরা। কিন্তু সেই সময় একটি একটি পুলিশের গাড়ি সেখানে টহল দিচ্ছিল। ঝুলন্ত অবস্থায় যুগলকে দেখতে পেয়েই তড়িঘড়ি সেখানে ছুটে যান পুলিশ আধিকারিকরা। তাঁদের উদ্ধার করে ভর্তি করানো হয় হাসপাতালে।
কিশোরীর মা বলেন, “মেয়ের এখনও বিয়ের বয়স হয়নি। মেয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়েছিল। তাই বিষয়টি মেনে নিতে পারিনি। থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছিলাম। আমার মেয়ের কিছু হয়ে গেলে ছেলেটিকে আমরা ছাড়ব না।” অন্যদিকে যুবক বলেন, “আমি ওকে বাড়ি ফিরে যেতে বলেছিলাম। কিন্তু সে যেতে রাজি হয়নি। তাই দু’জন আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হই।”