প্রেমের সম্পর্কে ফাঁসিয়ে কিশোরীকে ধর্ষণ, প্রতিবেশীকে ২০ বছরের সাজা দিল জলপাইগুড়ি আদালত

প্রেমের সম্পর্কে ফাঁসিয়ে কিশোরীকে ধর্ষণ, প্রতিবেশীকে ২০ বছরের সাজা দিল জলপাইগুড়ি আদালত

জীবনযাপন/LIFE STYLE
Spread the love


শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: নাম, পরিচয় গোপন করে বয়স ভাড়িয়ে প্রেমালাপ! নাবালিকাকে প্রেমের জালে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছিল প্রতিবেশী ব্যক্তি। পরে নাবালিকা ওই ব্যক্তিকে চিনে ফেলায় আর যোগাযোগ রাখতে চায়নি। পরে ওই কিশোরীকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয়। সেই ঘটনাটিতে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল অভিযুক্তকে। এদিন ধৃতকে দোষী সাব্যস্ত করে ২০ বছরের কারাদণ্ড দিল জলপাইগুড়ি বিশেষ আদালত।

মালদার বাসিন্দা ইয়াসিন শেখ। তারই প্রতিবেশী ওই কিশোরী। তার বাবা-মা কর্মসূত্রে ভিনরাজ্যে থাকেন। নাবালিকা এখানে দিদার সঙ্গে থাকে। মোবাইল ফোনে মিসড কলের মাধ্যমে ওই কিশোরীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল ইয়াসিন। প্রতিবেশী হওয়ায় ওই ব্যক্তিকে আগে থেকেই চেনে ওই কিশোরী। তাকে কাকা বলেও ডাকত সে। অভিযোগ, নিজের নাম, পরিচয় গোপন করে ওই ব্যক্তি নাবালিকার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক করা হয়। একদিন ওই নাবালিকাকে স্থানীয় একটি আমবাগানে ডেকেছিল ওই ব্যক্তি। মিথ্যাচার হয়েছে বুঝতে পেরে ওই ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে চায়নি ওই কিশোরী। যদিও এরপর থেকেই ওই নাবালিকাকে ভয় দেখানো, ব্ল্যাকমেল করা শুরু হয় বলে অভিযোগ। যোগাযোগ না রাখলে তার বাবা-মাকে মেরে ফেলা হবে বলে ভয় দেখানো হয়!

চলতি বছরের শুরুতে ওই নাবালিকাকে মালদহ থেকে শিলিগুড়ি নিয়ে গিয়েছিল ইয়াসিন। সেখানেই তাকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। পরে এক আত্মীয়ের বাড়িতেও ধর্ষণ করা হয়! পরে এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ওই ঘটনার কথা জানতে পারে। থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। পুলিশ তদন্তে নেমে ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে। জলপাইগুড়ি বিশেষ পকসো আদালতে শুরু হয় মামলা। আদালতের সহকারী সরকারি আইনজীবী দেবাশিস দত্ত জানান, আটমাসের মাথায় আটজনের সাক্ষ্য ও প্রমাণের ভিত্তিতে বিচারক দোষী সাব্যস্ত যুবক ইয়াসিন শেখকে ২০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে। এছাড়াও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে আরও দু’মাস কারাদণ্ডের কথা বলা হয়েছে। একই সঙ্গে নাবালিকার পরিবারকে পাঁচলক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য বিচারক ডিস্ট্রিক্ট লিগাল সার্ভিস অথরিটিকে নির্দেশ দিয়েছেন।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *