প্রেমিকের সঙ্গে মিলে স্বামীকে ‘খুন’, এক বছর পর গ্রেপ্তার স্ত্রী-সহ ২

প্রেমিকের সঙ্গে মিলে স্বামীকে ‘খুন’, এক বছর পর গ্রেপ্তার স্ত্রী-সহ ২

বৈশিষ্ট্যযুক্ত/FEATURED
Spread the love


সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বছরখানেক আগে হরিয়ানার সোনিপতে উদ্ধার হয় এক ব্যক্তির দেহ। সেই ঘটনার কিনারা করল দিল্লি পুলিশ। স্বামীকে খুন করানোর পর অভিযোগে গ্রেপ্তার স্ত্রী ও তার প্রেমিক। খুনের সঙ্গে যুক্ত অভিযুক্ত স্ত্রীর এক আত্মীয়ের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম প্রীতম প্রকাশ। বয়স ৪২। প্রীতম দিল্লির আলিপুরের বাসিন্দা ছিলেন। এই প্রীতমের বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলা-সহ প্রায় ১০টি মামলা ছিল। তদন্তকারীদের দাবি, এই অপরাধ প্রবণতা, অত্যাচারের জন্য তার স্ত্রী তাঁকে হত্যা করেছে। কিন্তু কী করে খুন? তার কিনারা করতে একবছর লাগল কেন?

জানা গিয়েছে, গত বছরের ৫ জুলাই প্রীতমের স্ত্রী সনিয়ার সঙ্গে তার ঝামেলা হয়। বোনের বাড়ি হরিয়ানার সনিপতে চালান তিনি। সেখানে তাঁকে আনতে যান প্রীতম। সেখানেই তাঁদের ঝগড়া হয়। প্রীতম ফিরে আসতে চাইলেও, আসেননি সনিয়া। প্রীতম ওখানেই থেকে যান

পুলিশের দাবি, এই সময়েই প্রেমিক রোহিতের সঙ্গে মিলে স্বামীকে খুনের পরিকল্পনা করেন। কিন্তু নিজেরা খুন করতে পারবেন না। তখন বোনের দেওর বিজয়কে খুনের সুপারী দেন। পুলিশ তদন্তে উঠে এসেছে বিজয়কে ৫০ হাজার টাকা সুপারি দেন সনিয়া।

প্রীতমকে খুন করেন বিজয়। দেহ ফেলে দেন এক নালায়। সেই ভিডিও পাঠিয়ে দেন সয়িনাকে। এদিকে বাড়ি ফিরে ২০ জুলাই থানায় স্বামীর নিখোঁজের অভিযোগ করেন সনিয়া। তদন্ত শুরু করে দিল্লি পুলিশ।

কিন্তু প্রায় এক সপ্তাহ ধরে মোবাইল ফোন সুইচ অফই ছিল। তা নিয়ে সহেন্দ জাগে পুলিশের। তদন্ত চলছিলই। এরমধ্যেই দিন কয়েক আগে। প্রীতমের ফোনের সুইচ অন হয়। লোকেশন দেখায় হরিয়ানার সোনিপত। তদন্তে হরিয়ানায় পাড়ি দেয় দিল্লি পুলিশের একটি দল। দেখা যায়,প্রীতমের ফোন ব্যবহার করছেন রোহিত। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন তদন্তকারীরা। প্রথমে পুলিশকে ভুল পথে চালিত করলেও, শেষে জেরা ভেঙে পড়েন রোহিত। গ্রেপ্তার করা হয় তাঁকে। সেই সূত্রে ধরা পড়েন সনিয়াও। তবে বিজয়কে এখনও খুঁজছে পুলিশ।

দিল্লি পুলিশের ডিসিপি জানিয়েছেন,”১৫ বছর বয়সে সনিয়া প্রীতমের প্রেমে পড়েন। বাড়ি থেকে পালিয়ে বিয়ে করেন তারা। দম্পতির তিন সন্তান রয়েছে। খুনের পিছনে আর কী কী কারণ আছে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত চলছে।”



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *