প্রাণ বাঁচানোর পুরস্কার দেননি সইফ! অটোচালককে ১১ লক্ষ দেওয়ার দাবি তুললেন মিকা সিং

প্রাণ বাঁচানোর পুরস্কার দেননি সইফ! অটোচালককে ১১ লক্ষ দেওয়ার দাবি তুললেন মিকা সিং

ইন্ডিয়া খবর/INDIA
Spread the love


সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দুঃসময়ে সইফ আলি খানের (Saif Ali Khan) প্রাণ বাঁচিয়ে ভজন সিং রানা বর্তমানে মুম্বইয়ের ‘হিরো’। সেই ‘উপেক্ষিত নায়ক’কে ঘিরে মায়ানগরীর বাসিন্দা তো বটেই এমনকী বলিপাড়ার অন্দরেও মারাত্মক উন্মাদনা। তবে পতৌদিদের ‘ছোটে নবাব’কে দুঃসময়ে সাহায্য করার জন্য কোনও পুরস্কার পাননি ভজন! এবার সেই ‘সাহসী’ অটোচালককেই ১১ লক্ষ টাকা পুরস্কার দেওয়ার দাবি তুললেন খোদ মিকা সিং (Mika Singh)।

মিকা নিজেও ভজন সিং রানার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছেন। গায়কের প্রতিশ্রুতি, ঠআমি নিজেই ওঁকে ১ লক্ষ টাকা পুরস্কার দিতে চাই।” মিকা সিং তাঁর ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে লিখেছেন, “আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি, আমাদের প্রিয় সুপারস্টারকে বাঁচানোর জন্য ওঁর ১১ লক্ষ টাকা পুরস্কার প্রাপ্য। ওঁর হিরোসুলভ এই পদক্ষেপ সত্যিই প্রশংসনীয়। যদি সম্ভব হয়, কেউ দয়া করে ওঁর যোগাযোগ নম্বর আমাকে পাঠাতে পারবেন? আমি নিজে ওঁকে ১ লক্ষ টাকা পুরস্কার দিতে চাই।” বলিউড মাধ্যম সূত্রে খবর, সইফের তরফে এখনও কোনওরকম পুরস্কার না পেলেও এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার তরফে ওই অটোচালককে ১১ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। যদিও এই তথ্যের সত্য-মিথ্যা যাচাই করা সম্ভব হয়নি। তবে হাসপাতালে ভজনকে দেখে জড়িয়ে ধরেছিলেন সইফ খোদ। আশীর্বাদ করেন শর্মিলা ঠাকুরও। নবাব তাঁকে পুরস্কৃত করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

Saif Ali Khan hugs hero auto driver at hospital, mother Sharmila blesses him

সইফের উপর হামলার ঘটনার পর ভজন সিং রানা নামে ওই অটো চালক জানান, “বান্দ্রার রাস্তায় গভীর রাতে আমি তখন তীব্র গতিতে অটো ছুটিয়েছি। আচমকাই এক গেটের সামনে থেকে মহিলার চিৎকার কানে আসে। তিনি আমাকে সাহায্যের জন্য কাকুতি মিনতি করা শুরু করেন। প্রথমে তো আমি বুঝতেই পারিনি যে, সেটা সইফ আলি খানের বাড়ি। আমি ভেবেছি, চারদিকে যেমন আকছার হেনস্তার ঘটনা ঘটে, তেমনই কিছু হবে। তবে পরে দেখি, গুরুতম জখম অবস্থায় সইফ হেঁটে আমার অটোতে উঠে বসলেন। একটা বাচ্চা এবং আরেকজন সঙ্গে ছিলেন। অটোয় উঠেই সইফ প্রথমেই আমাকে জিজ্ঞেস করলেন- কিতনা টাইম লাগেগা? (হাসপাতালে পৌঁছতে কতক্ষণ লাগবে?) আমরা ৮-১০ মিনিটের মধ্যেই হাসপাতালে পৌঁছে যাই। ওঁর ঘাড়, পিঠ থেকে রক্তবন্যা বইছে। সাদা পাঞ্জাবি রক্তে ভিজে লাল হয়ে গিয়েছে। ততক্ষণে অনেকটা রক্তক্ষরণও হয়ে গিয়েছিল। ওই পরিস্থিতি দেখে আমি ভাড়া নিইনি। তবে সইফ আলি খানকে দুঃসময়ে সাহায্য করতে পেরে আমার ভালো লেগেছে।” সেই অটোচালক এখন মুম্বইয়ের বান্দ্রা লাইনে বেশ ফেমাস। অনেকেই তাঁকে এই ঘটনার জন্য সাক্ষাৎ ‘ঈশ্বরের দূত’ বলে মনে করছেন।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ






Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *