রাজা দাস, বালুরঘাট: নার্সিংহোমের দ্বিতল থেকে ঝাঁপ প্রসূতির। প্রসবের পর ব্যথা সহ্য না করতে পেরেই প্রসূতি আত্মঘাতী হয়েছেন বলেই দাবি নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের। গঙ্গারামপুরের ঘটনায় নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে অব্যবস্থার অভিযোগ তুলে সরব পরিবারের লোকজন।
নিহত প্রসূতি মামণি মোহন্ত দে। বছর ছাব্বিশের ওই মহিলা দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর শহরের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের স্ট্যালিন কলোনির বাসিন্দা। গত রবিবার প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে তাঁকে নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। সোমবার তিনি পুত্রসন্তান প্রসব করেন। কিন্ত বৃহস্পতিবার থেকে পেট, পিঠ ও বুকে অসহ্য যন্ত্রণা শুরু হয় তাঁর। আচমকা সকলের নজর এড়িয়ে এদিন তিনি দোতলার ব্যালকনিতে এসে পড়েন। সেখান থেকেই তিনি নীচে ঝাঁপ মারেন। পরিবার ও নার্সিং হোম কর্তৃপক্ষ তাঁকে উদ্ধার করে গঙ্গারামপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেই তাঁকে মৃত বলে জানান চিকিৎসক। ঘটনায় ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্তের পর ময়নাতদন্ত করা হয় বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে।
মৃতার স্বামী বলরাম দে এই ঘটনায় নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে একাধিক প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, “ঘরে ও বাইরে আয়া ও নার্স থাকা সত্ত্বেও কীভাবে তাঁর স্ত্রী বাইরের ব্যালকনিতে আসলেন?” অভিযোগ, ব্যালকনির দরজাও খোলা রেখেছিল কর্তৃপক্ষ। এমনকি ঝাঁপ দেওয়ার পরেও কর্তৃপক্ষ নিচে আসতে ইতস্তত করছিল। নিরাপত্তা ও নজরদারির অভাবেই তাঁর স্ত্রীর এমন অঘটন ঘটাতে পেরেছে। তাঁরা অভিযোগ দায়ের করবেন। যদিও এই বিষয়ে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।