প্রমাণ করার সেরা মঞ্চ, কেরিয়ার বাঁচাতে আইপিএলকেই হাতিয়ার করছেন এই ১০ তারকা

প্রমাণ করার সেরা মঞ্চ, কেরিয়ার বাঁচাতে আইপিএলকেই হাতিয়ার করছেন এই ১০ তারকা

জীবনযাপন/LIFE STYLE
Spread the love


সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আইপিএল জ্বরে কাঁপছে গোটা দেশ। শনিবারই শুরু এই মেগা ইভেন্ট। আইপিএল এমন একটা টুর্নামেন্ট, যেখানে প্রতিদিন নতুন তারকার জন্ম হয়। তাই এই কোটিপতি লিগকে প্রমাণ করার মঞ্চ হিসেবে বেছে নেন ক্রিকেটাররা। ব্যাটে-বলে ক্যারিশমা দেখানোর জন্য মুখিয়ে থাকেন তাঁরা। এমন ১০ তারকার নাম আইপিএল শুরুর আগে ঝালিয়ে নেওয়া যাক, যাঁরা কেরিয়ার বাঁচাতে এবারের আইপিএলকেই হাতিয়ার করতে চলেছেন।

মহম্মদ সিরাজ
এই মুহূর্তে ভারতের ওয়ানডে দল থেকে ছিটকে গিয়েছেন। দেশের হয়ে শেষ টি-২০ খেলেছিলেন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২০২৪-এর জুলাইয়ে। ১৬টি ম্যাচে উইকেট নিয়েছেন ১৪টি। গড়ও তেমন আহামরি নয়। ৩২.২৮। তবে তাঁকে নিলামে ১২.২৫ কোটি টাকায় কিনে নিয়েছে গুজরাট টাইটান্স। চাইবেন তাদের বিশ্বাসের মর্যাদা দিয়ে ভারতীয় দলে ফিরতে।

মুকেশ কুমার
দেশের হয়ে ১৭টি টি-২০ ম্যাচ ইতিমধ্যেই খেলে ফেলেছেন। নিয়েছেন ২০ উইকেট। গড় মন্দ নয়। ২৪.৩৫। তবে রান দিয়ে ফেলেন বড্ড। ইকোনোমি ৯.০১। হয়তো এই কারণেই দল থেকে ছিটকে গিয়েছেন। আইপিএলে তাঁর দল দিল্লি ক্যাপিটালস। চাইবেন আঁটসাঁট বোলিং করে দিল্লিকে আইপিএল কাপ তুলে দিতে। একমাত্র ভালো পারফরম্যান্সই পারে তাঁর জন্য জাতীয় দলের জায়গা খুলে দিতে।

খলিল আহমেদ
দেশের জার্সি গায়ে তাঁর শেষ টি-২০ আন্তর্জাতিক জিম্বাবোয়ের সঙ্গে। ১৮টি ম্যাচ খেললেও তেমন সফল নন। ১৬টি উইকেট পেলেও গড় অনেকটাই বেশি। ৩৫.১২। ওভার পিছু সাড়ে ৮ গড়ে রান দেওয়ার প্রবণতা আছে এই ক্রিকেটারের। দিল্লি ক্যাপিটালস থেকে তিনি এবার সিএসকে-তে। তাঁর চেষ্টা থাকবে ভালো খেলার। যদিও টিম ইন্ডিয়ায় এখন নিয়মিত সুযোগ পাচ্ছেন অর্শদীপ সিং। তাই জাতীয় দলে ঢোকার ক্ষেত্রে লড়াইটা খুবই কঠিন।

যুজবেন্দ্র চাহাল
একটা সময় জাতীয় দলের নিয়মিত সদস্য ছিলেন। কিন্তু খেলার থেকেও এখন বেশি করে তাঁর ব্যক্তিগত বিষয় লাইম লাইটে। দেশের হয়ে শেষ টি-২০ খেলেছিলেন ২০২৩-এর আগস্টে। প্রতিপক্ষ ছিল ক্যারিবিয়ানরা। তবে দেশের হয়ে চাহালের রেকর্ড কিন্তু বেশ ঈর্ষণীয়। ৮০টি ম্যাচে ৯৬ উইকেট রয়েছে তাঁর নামে। গড় ২৫.০৯। বহুদিন ধরে যেহেতু তিনি ভারতীয় দলে নেই, তাই তিনি চাইবেন পাঞ্জাব কিংসের হয়ে নিজের সেরাটা দিতে।

ঋতুরাজ গায়কোয়াড়
দেশের হয়ে শেষ টি-২০ খেলেছেন জুলাইয়ে, জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে। যতটুকু সুযোগ পেয়েছিলেন, ভালো খেলেছিলেন। কিন্তু তারপর আর জায়গা হয়নি। গতবারের মতো এবারেও তিনি সিএসকে অধিনায়ক। সঙ্গে মহেন্দ্র সিং ধোনির মতো একজন ‘অভিভাবক’কেও তিনি পাচ্ছেন। চাইবেন, ব্যাটিংকে আরও ধারালো করতে। তাহলে অবধারিতভাবেই দেশের হয়ে ফের মাঠে নামার সুযোগ চলে আসবে ইতিমধ্যেই ২৩টি আন্তর্জাতিক টি-২০ খেলে ফেলা এই ক্রিকেটারের সামনে। আপাতত ৬৩৩ রান করেছেন। রয়েছে একটি সেঞ্চুরিও।

ভেঙ্কটেশ আইয়ার
তিন বছর আগে দেশের হয়ে টি-২০ ম্যাচ খেলেছিলেন। দেশের হয়ে টি-২০ খেলেছেন মাত্র ৯টি। তারপর বাদ পড়েছেন। এবার সেই তাঁকেই ২৩.৭৫ কোটি টাকায় কিনে নেয় কেকেআর। সহ-অধিনায়কও তিনি। তবে আইপিএলে বেশ সফল নাম এহেন ভেঙ্কটেশ। ৫১টি আইপিএল ম্যাচে করেছেন ১৩২৬ রান। সর্বোচ্চ ১০৪। চাইবেন কেকেআর’কেও সাফল্যের স্বাদ এনে দিতে।

ঋষভ পন্থ
ভয়াবহ গাড়ি দুর্ঘটনার পর ফিরে এসেছেন। তাঁর প্রত্যাবর্তনের লড়াই দৃষ্টান্ত। কিন্তু দেশের হয়ে টেস্ট দলের প্রথম একাদশে সুযোগ পেলেও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সুযোগ মেলেনি। টি-২০ দলেও তাঁকে বিশ্রামে রাখা হয়েছিল। তিনি এবার দিল্লি ক্যাপিটালস থেকে লখনউ সুপার জায়ান্টসে। অধিনায়কত্ব সামলাবেন। আইপিলে সফল হলেই জাতীয় টি-২০ দলে সুযোগ পেয়ে যেতে পারেন। ২০২৬ সালে রয়েছে টি-২০ বিশ্বকাপ। তাঁকে ফর্মে পাওয়া গেলে ভারতের জন্যই মঙ্গল।

ঈশান কিষান
তাঁর গায়ে ‘অবাধ্য’ ক্রিকেটারের তকমা। দেশের হয়ে শেষ টি-২০ খেলেছেন ২০২৩-এর নভেম্বরে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সবচেয়ে ছোট ফরম্যাটে তাঁকে দেখা গিয়েছে ৩২ বার। হাঁকিয়েছেন শতরানও। এবার তিনি সানরাইজার্স হায়দরাবাদে খেলবেন। অনুশীলনে তাঁর রুদ্রমূর্তি দেখে তো মনে হচ্ছে ফর্মেই রয়েছেন। এই ফর্ম যদি আইপিএলে বজায় থাকে তাহলে জাতীয় নির্বাচকদের ‘অভিমান’ ভাঙতে পারে।

শুভমান গিল
তাঁর হারানোর কিছু নেই। একদিনের ক্রিকেটে তিনি সহ-অধিনায়ক। টেস্টেও সুযোগ পান। তবে টি-২০ দলে তিনি নেই। শেষ খেলেছেন ২০২৪-এর জুলাইয়ে। গুজরাট টাইটন্সের এই অধিনায়ক চাইবেন আইপিএলে ফের একবার জ্বলে উঠে দেশের টি-২০ জার্সি গায়ে চাপাতে।

কেএল রাহুল
তিনি ‘ইউটিলিটি ক্রিকেটার’। সব পজিশনেই ব্যাটিং করতে পারদর্শী। তবে মাঝেমাঝেই কাছিম গতিতে রান করার প্রবণতা দেখে অনেকেই ট্রোলড করেন। গত আইপিএলে লখনউ সুপার জায়ান্টসের কর্ণধারের সঙ্গে তাঁর ঝামেলার স্মৃতি এখনও টাটকা। এবার তিনি লখনউ ছেড়ে দিল্লির অধিনায়ক। প্রাণপণে চাইবেন সমস্ত সমালোচনার জবাব রান করে দিল্লিকে অধরা আইপিএল ট্রফি তুলে দিতে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *