সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একঝাঁক হেভিওয়েটকে পিছনে ফেলে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। প্রথমবার বিধায়ক নির্বাচিত হয়েই সটান রাজধানীতে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি- বেশ চমকপ্রদ উত্থান তাঁর। বুধবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণা হতেই দেশজুড়ে চর্চা, কে এই রেখা গুপ্ত? ৫০ বছর বয়সি রেখা ছোট থেকেই আরএসএসের সক্রিয় সদস্য ছিলেন। দিল্লি বিজেপির যুবনেত্রী হিসাবেও বেশ পরিচিত রেখা।
২০২৪ সালেই প্রথমবার বিধানসভা নির্বাচনে জেতেন রেখা। ১৯৭৪ সালে হরিয়ানার জিন্দ জেলায় নন্দগড় গ্রামে তাঁর জন্ম। তাঁর বাবা স্টেট ব্যাঙ্কের আধিকারিক ছিলেন। মাত্র দুবছর বয়সে হরিয়ানা ছেড়ে দিল্লিতে চলে আসেন রেখা। রাজধানীতেই পড়াশোনা করেছেন তিনি। প্রথমবার বিধানসভায় পা রেখেই সোজা মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসতে চলেছেন বেনিয়া সম্প্রদায়ের এই নেত্রী। এই নিয়ে চতুর্থবার মহিল মুখ্যমন্ত্রী পেতে চলেছে রাজধানী।
ছোট থেকেই আরএসএসের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে যুক্ত ছিলেন রেখা। সংঘের ছাত্র সংগঠন এবিভিপির হাত ধরে ছাত্র রাজনীতিতে হাতেখড়ি। ১৯৯৪ সালে দৌলত রাম কলেজের ছাত্র সংসদের সম্পাদক নির্বাচিত হন। পরের বছর দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পাদক হন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি পদে নির্বাচিত হন ১৯৯৬ সালে। ১৯৯৮ সালে স্পেয়ার পার্টস ব্যবসায়ী মণীশ গুপ্তকে বিয়ে করেন তিনি।
২০০৭ সালে রাজনীতির ময়দানে রেখার প্রথম সাফল্য় মেলে দিল্লির পুরভোটে। উত্তর পিতমপুরার কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। ২০২২ সালের পুরভোটে তাঁকে মেয়র পদপ্রার্থী শেলি ওবেরয়ের বিরুদ্ধে প্রার্থী করে গেরুয়া শিবির। সেখানে যদিও সাফল্য পাননি। তবে দলের অন্দরে রেখার গুরুত্ব বাড়তে থাকে। সদ্যসমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনেও আপের ১০ বছরের শক্ত ঘাঁটি শালিমার বাগে রেখার উপরে আস্থা রেখেছিল বিজেপি। ২৯৫৯৫ ভোটে আপের বন্দনা কুমারীকে হারান রেখা। প্রথমবার বিধানসভা নির্বাচনে জেতা ‘আনকোরা’ মুখকেই মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য বেছে নিল বিজেপি। প্রবেশ বর্মার মতো হেভিওয়েটকেও পিছনে ফেলে দিলেন রেখা।