প্রকাশ্যে বচ্চনদের অন্তর্দ্বন্দ্ব! ‘এত আমিত্বে ভুগছ কেন?’, মেয়ে শ্বেতাকে ধমক জয়ার

প্রকাশ্যে বচ্চনদের অন্তর্দ্বন্দ্ব! ‘এত আমিত্বে ভুগছ কেন?’, মেয়ে শ্বেতাকে ধমক জয়ার

স্বাস্থ্য/HEALTH
Spread the love


সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘বউমা’ ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের সঙ্গে শাশুড়ির মন কষাকষির গুঞ্জন নতুন নয়! বলিপাড়ার অন্দরে কান পাতলেই এযাবৎকাল শোনা যেত, সম্পত্তির ভাগ বাটোয়ারার জেরেই নাকি শাশুড়ি-ননদের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে বিশ্বসুন্দরীর। সেই জল বিচ্ছেদের জল্পনা পর্যন্ত গড়িয়েছিল। তবে এবার মেয়ে শ্বেতা বচ্চনই বকুনি খেলেন মা জয়ার কাছে। কেন? মায়ের আপত্তি, মেয়ের ‘বড্ড বেশি মতামত’ নিয়ে।

ঠিক কী ঘটেছে? বচ্চনদের নাতনি নভ্যা নভেলির পডকাস্ট বর্তমানে বেশ হিট। প্রায়শই মা-দিদাকে নিয়ে নিত্যনতুন বিষয়ে এই পডকাস্টে আলোচনা করে খবরের শিরেনামে ঠাঁই পান নভ্যা। এবারও তেমনই এক পর্বে সঞ্চালিকা হিসেবে তিনি প্রশ্ন রেখেছিলেন- “ইন্টারনেট মানবজীবনে কতটা প্রভাব ফেলেছে? আর এই নেটদুনিয়ার জমানায় মানুষ কি আগের তুলনায় আরও মানবিক হয়ে উঠেছে নাকি তার উলটোটা?” মেয়ে নভ্যা নভেলির এহেন প্রশ্নে জয়া বচ্চন উত্তর দেওয়ার আগেই প্রায় মুখের কথা কেড়ে নিয়ে শ্বেতা বচ্চন বলেন, “যারা অশ্লীল মানসিকতার তারা সেরকমই আচরণ করবে, আর যাঁরা মানবিক, তাঁরা নেটদুনিয়াতেও তেমন আচরণই বজায় রাখবে। এটা আসলে মানুষের স্বাভাবিক প্রবৃত্তি।” মেয়ের একথাতেই প্রথমে হেসে গড়ান জয়া বচ্চন। কিন্তু তার পরক্ষণেই আবার কড়া জবাব দিতে পিছপা হন না তিনি।

নাতনির পডকাস্টে সোজাসাপটাভাবেই প্রবীণ অভিনেত্রীকে বলতে শোনা যায়, “শ্বেতা, তোমাকে একটা কথা বলি। তুমিই একমাত্র যে, সবেতে অনবরত মতামত দিতে থাকো। আর সব বিষয়ে কথা বলো।” মায়ের কথার পালটা যখন শ্বেতা বচ্চন বলেন, “পডকাস্টটা তো সেইজন্যই করা। যাতে আমরা আলোচনা করতে পারি।” তবে মেয়ের উত্তরে চিড়ে ভেজেনি! ততোধিক দৃঢ় কণ্ঠে জয়া বচ্চন বলেন, “হ্যাঁ সেটা ভালো। কিন্তু সবসময়ে এত আমি, আমি, আমি (আমিত্ব) কেন! কোনও কোনও সময়ে চুপচাপ বসে অন্যের কথাও শুনতে হয়।” মায়ের এহেন কথাতে নিজের মতামত ব্যক্ত করতে গিয়েও শেষে থেমে যান অমিতাভকন্যা শ্বেতা। আর সেই মুহূর্তের ভিডিও নেটপাড়ায় ভাইরাল হতেই নিন্দুকদের একাংশের উল্লাস, ‘ফের বচ্চনদের অন্তর্দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে!’ আবার অনেকের মত, নভ্যা নভেলির পডকাস্ট হিট করাতেই জয়া-শ্বেতার এহেন স্ট্র্যাটেজি।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *