প্রকল্প দিতে টাকা চাইলে থানায় ডায়েরি করুন, দুয়ারে সরকারের আগে বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর

প্রকল্প দিতে টাকা চাইলে থানায় ডায়েরি করুন, দুয়ারে সরকারের আগে বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর

বৈশিষ্ট্যযুক্ত/FEATURED
Spread the love


কিংশুক প্রামাণিক: ২৪ জানুয়ারি আবার শুরু হচ্ছে দুয়ারে সরকার। তার আগেই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিলেন, ৩৭টি প্রকল্পের সরকার। প্রকল্পের সুবিধা দিতে যদি কেউ টাকা চায় তা হলে থানায় গিয়ে তার নামে ডায়েরি করুন। পুলিশ যদি ডায়েরি নিতে রাজি না হয় সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীতে অভিযোগ জানাতে হবে।

সুবিধা মানুষকে বিনামূল্যে দেয় সামনে সুবিশাল প্রাসাদ হাজারদুয়ারি। পাশে বইছে ইতিহাসের সাক্ষী ভাগীরথী। দুশো বছরে পা দেওয়া স্কুল নবাব বাহাদুরস ইনস্টিটিউশন মাঠে এসেছেন বাংলার তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী। নবাবের জেলার লোকসভার তিনটি আসনই করায়ত্ত। সেই সূত্রেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোমবার পরিষেবা প্রদান সভায় মুর্শিদাবাদের জন্য ছিলেন কল্পতরু। একই সঙ্গে তাঁর ঘর শাসন। জনপ্রতিনিধিদের সতর্ক করে বললেন, “কেউ লোভ করবেন না। মানুষের পাশে থাকুন। তৃণমূল করলে মানুষের সেবা করে যেতে হবে। মানুষ মনে রাখবে।” এর পরই প্রকল্পের জন্য টাকা চাইলে পুলিশের কাছে যেতে পরামর্শ জনতাকে। পরে বিধায়ক সাংসদদের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে তাঁর হুঁশিয়ারি, “কোনও গোষ্ঠীবাজি, অনিয়ম চলবে না। আমি কাউকে ছাড়ব না। বিধানসভায় সব আসনে জিততে হবে।” অর্থাৎ মানুষের উপর আস্থা রেখেই তিনি যে আরও সামনে এগোতে প্রত্যয়ী সেই বার্তা স্পষ্ট। অনেক দিন পর টানা সফর। পরপর জেলায় পরিষেবা প্রদান। লক্ষ সেই উন্নয়ন।

বলা যায়, মমতার ছাব্বিশের যাত্রা চেনা পথে শুরু হতে চলেছে। আগামী বাজেট থেকে সেটা স্পষ্ট হবে। তার আগে এই সফরের শুরুতে মুখ্যমন্ত্রী আবার বোঝালেন তাঁর আগামী লড়াইয়ের অভিমুখ। আশা ও আইসিডিএস কর্মীদের জন্য শোনালেন আশার খবর। দুই কর্মীরাই এবার মোবাইল পাবেন। তিনি বলেন, “আশা কর্মীদের ফোন দিতে টেন্ডার হয়েছে। আইসিডিএস-এর মেয়েদের ফোন দেওয়া হবে। কেন্দ্র ওদের টাকা দেয় না। আমাদের জন্য অনেক কাজ করেছে। কোভিডের সময় যখন কেউ বেরোত না তখন ওরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে পরিষেবা দিত।”

বঞ্চনা, গঙ্গাভাঙন, বন্যা ইত্যাদি নিয়ে তাঁর লক্ষ্য ছিল কেন্দ্র। নাম না করে বিজেপিকে একহাত নিয়ে তিনি বলেন, “একটা রাজনৈতিক দল আছে। সকাল থেকে শুরু করবে, তুমি হিন্দু না মুসলমান? দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা করে। বন্যায় ভেসে গেলে আসে না। বাংলাকে বঞ্চনা করে। আমরা বিশ্ববরেণ্য মনীষীদের নেতা মানব, না কি কয়েকটা চুনোপুঁটি নেতার কথা মানব।” তিনি বলেন, “যারা বলেছিল আমি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার দিয়ে দালালি করি, তাদের মুখে ঝামা ঘষে দিয়েছি। তোমরা চালু করলে বন্ধ করে দাও। আমরা চালিয়ে যাই। আগামী দিনে আরও দেব। আমার মা- বোনেরা কারও কাছে হাত পাতবে না। আমরা ভোটের সময় আসি না। আমরা ৩৬৫ দিন পাশে থাকি।” তফসিলিদের চাকরির ক্ষেত্রে মামলা নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেন। ২৬ হাজার শিক্ষকের পাশে থেকেই সরকার এগোবে বলে আরও বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী। নবাব পরিবারের বর্তমান প্রজন্মের লোকজন মুখ্যমন্ত্রীর সভায় যোগ দেন।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *