পৃথিবীর বুকে ফিরবে হারিয়ে যাওয়া ডোডোপাখি, দেখা মিলবে লোমশ ম্যামথেরও!

পৃথিবীর বুকে ফিরবে হারিয়ে যাওয়া ডোডোপাখি, দেখা মিলবে লোমশ ম্যামথেরও!

বৈশিষ্ট্যযুক্ত/FEATURED
Spread the love


সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একটা সময় পৃথিবীতে দাপিয়ে বেড়াত লোমশ ম্যামথরা! অতিকায় চেহারার এই প্রাণীরা আজকের হাতির চেয়ে আকারে অনেক বড়। যাদের দেখা মেলে কেবল ইতিহাস বইয়েই। কিংবা ডোডোপাখি! প্রায় চারশো বছর আগে অবলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল তারা। আবার তাসমানিয়ান টাইগারের মতো প্রাণীরাও এই গ্রহের বুক থেকে হারিয়ে গিয়েছে চিরতরে। কিন্তু হারিয়ে যাওয়া এই সব জীবরা কি ফের ফিরে আসবে পৃথিবীতে? কোনও কল্পবিজ্ঞান কাহিনি নয়, এমন সম্ভাবনাই সত্যি হতে পারে। তেমনই আশা দিচ্ছে এক কলোসেল বায়োসায়েন্স নামের এক মার্কিন সংস্থা।

২০২১ সালে ডালাসে স্থাপিত হয়েছিল এই সংস্থা। যাদের লক্ষ্যই হল হারিয়ে যাওয়া পশুপাখিদের ফের এই পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা। এমনকী প্রাগৈতিহাসিক জীবদেরও। জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সাহায্যেই তা সম্ভব বলে দাবি তাদের। তবে সংস্থার গবেষকদের দাবি, যারা অদৃশ্য হয়ে গিয়েছে তাদের পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা যে সম্ভব হবেই তা নিশ্চিত করে বলা না গেলেও চেষ্টা শুরু হয়েছে। কীরকম চেষ্টা? জানা যাচ্ছে, বিলুপ্ত জীবদের জীবাশ্মে যে ডিএনএ পাওয়া যায় তা সংগ্রহ করাই প্রাথমিক লক্ষ্য। যেমন ম্যামথের ক্ষেত্রে তাদের তুষারাবৃত অবশেষ থেকে ডিএনএ সংগ্রহ করা হচ্ছে। লক্ষ্য এদের সঙ্গে এদের ‘নিকটাত্মীয়’ এশিয়ার হাতিদের পার্থক্য বোঝার চেষ্টা করা। এরপর CRISPR-Cas9 নামের এক যুগান্তকারী জিন-এডিটিং টুলের সাহায্যে ম্যামথের জিনকে এশিয়ার হাতির জিনোমে প্রবেশ করিয়ে ‘হাইব্রিড’ ভ্রুণ তৈরি করা হবে। তারপর সেটিকে কোনও ‘সারোগেট’ হাতির জরায়ুতে কিংবা কোনও কৃত্রিম জরায়ুতে স্থাপন করা হবে। আর সেখান থেকেই জন্ম নেবে নতুন এক প্রাণী। বহু বছর আগে যারা বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল।

একই পদ্ধতি অনুসারে ডোডো ও তাসমানিয়ান টাইগারের মতো জীবদেরও ফিরিয়ে আনা সম্ভব। শুরু হয়েছে পরীক্ষানিরীক্ষা। আর এই প্রকল্পে বিনিয়োগ করা হয়েছে ২০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এখন দেখার, সত্যিই এই জীবেরা ফের পৃথিবীর বুকে ফিরে আসে কিনা। যদি আসে, তাহলে যে অতীতকে ফিরিয়ে আনার এক ‘অসাধ্যসাধন’ হবে তাতে কোনও সন্দেহ নেই।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *