সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বারবার বদলেছে পৃথিবী। বদলেছে এই নীল রঙের গ্রহের জীববৈচিত্র। প্রাগৈতিহাসিক এই সব বিবর্তনের গল্পেই এতদিন লেখা হয়েছে পৃথিবীর ইতিহাস। যেখানে খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এসেছে ফসিলস তথা জীবাশ্ম। কিন্তু এবার গবেষকরা আরও গভীরে নেমেছেন। দাবি করেছেন, মাটির গভীরে থাকা এক ‘গোপন ঘড়ি’ই নাকি সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করছে।
ভূতত্ত্ববিদরা পৃথিবীর ইতিহাসকে নানা পর্বে ভেঙেছেন। যেমন জুরাসিক কিংবা ক্রিটেশিয়াস প্রভৃতি। আর এই বিভাজনের ক্ষেত্রে মূলত জীবাশ্ম-প্রমাণই ফ্যাক্টর হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন সময়ে পৃথিবী থেকে প্রাণের বিলুপ্তির দিকে নজর রেখেছেন বিজ্ঞানীরা। আর এই সব বিলুপ্তির ক্ষেত্রে গ্রহাণুর আছড়ে পড়ার পাশাপাশি আরও বহু কারণ উঠে এসেছে। যার মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তন কিংবা অগ্ন্যুৎপাতের মতো প্রাকৃতিক ঘটনাও রয়েছে।
কিন্তু ‘কমিউনিকেশনস আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট’-এ প্রকাশিত নতুন গবেষণাপত্র বলছে এই ‘খেলা’র আসল ‘খেলোয়াড়’ রয়েছে মাটির অনেক গভীরে- টেকটনিক প্রক্রিয়া। ৬ কোটি বছর ধরে পৃথিবীর জীববৈচিত্র ও নানা ঘটনাকে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে এখান থেকেই। সহজ ভাবে বললে ভূত্বকীয় পাত সংস্থান মহাদেশগুলির চলন কিংবা অগ্ন্যুৎপাতের মতো ঘটনাকে নিয়ন্ত্রণ করে। এর ফলে কার্বন ডাইঅক্সাইডের নির্গমনও প্রভাবিত হয়।
ভূতাত্ত্বিক নানা তথ্য এবং পৃথিবীর সময়-সারণীর নানা দিক খতিয়ে দেখে তবেই এই সিদ্ধান্তে এসেছেন গবেষকরা। দেখা যাচ্ছে প্রতি ৬ কোটি বছরে নানা পরিবর্তনের ফলে বদলে যাচ্ছে পৃথিবী। নিছক জীবাশ্ম বা প্রাণের অবলুপ্তি নয়, তার গভীরে গিয়ে করা এই পর্যবেক্ষণ আগামিদিনে পৃথিবীকে আরও ভালোভাবে বুঝতে এবং এর আভ্যন্তরীণ ক্রিয়া সম্পর্কে নতুন ধারণায় পৌঁছতে সাহায্য করবে বলেই মনে করছেন গবেষকরা।