সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বদলে গিয়েছে জীবন। ভারহীনতার মধ্যেই কেটেছে গত কয়েক মাস। সব কিছু ঠিক থাকলে হয়তো আগামী মাসেই পৃথিবীতে ফিরে আসবেন মার্কিন নভোচর সুনীতা উইলিয়ামস। তাঁদের ফেরা নিয়ে সংশয় তো রয়েছেই। তবু শেষপর্যন্ত ভালোয় ভালোয় নীল রঙের গ্রহে ফিরতে পারলেও বড় চ্যালেঞ্জ অপেক্ষায় রয়েছে সুনীতাদের। ভারতীয় বংশোদ্ভূত নভোচরের সঙ্গে আটকে থাকা বুচ উইলমোর জানাচ্ছেন, ”অভিকর্ষ অত্যন্ত কঠিন ব্যাপার। যখন ফিরব তখন সেটা ভালোই মালুম হবে।”
সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে উইলমোরকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘অভিকর্ষ সব কিছুকে নিচের দিকে টানতে শুরু করে। তরল নামতে থাকে। তখন একটা পেনসিল তোলাটাও ওয়ার্কআউট করার মতো মনে হতে থাকে।” আর এর ফলে প্রবল অস্বাচ্ছন্দ্যের মুখে পড়তে হয়। শরীরে ভার বোধ হয় অত্যন্ত বেশি। উইলমোর আরও বলছেন, ”মানিয়ে নেওয়াটা খুব কঠিন। দিনে দিনে নিজেকে অভ্যস্ত করে তুলতে হবে।” এভাবেই নিজেদের তাঁরা প্রস্তুত করে নেবেন বলে জানাচ্ছে তিনি।
কদিন আগেই জানা গিয়েছিল, মহাকাশ স্টেশনে ‘বন্দি’ হয়ে নিত্যদিনের কাজকর্ম ভুলে গিয়েছেন সুনীতা উইলিয়ামস! হাঁটাচলা, বসা, ঘুমনো – এসবের অনুভূতি কেমন, তা যেন মনেই করতে পারছেন না ভারতীয় বংশোদ্ভুত নভোচর। ফলে ফিরে এসে কত কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে তাঁদের, তা তিনিও বুঝছেন ভালোই।
গত বছরের মে মাসে স্পেস এক্সের রকেটে চড়ে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে পৌঁছেছিলেন সুনীতা উইলিয়ামস, বুচ উইলমোর। তাঁদের ফেরার কথা ছিল জুনে। কিন্তু যান্ত্রিক রকেটে ত্রুটির কারণে তাঁদের ফেরা বিলম্বিত হয়েছে। মার্চে পৃথিবীর মাটিতে তাঁরা পা রাখতে পারবেন বলে জানিয়েছে নাসা। আর ফেরার প্রাক্কালেই আশঙ্কার কথা শোনাচ্ছেন দুই নভোচর। প্রস্তুত হচ্ছেন লড়াইয়ের জন্য। যে লড়াই পৃথিবীর বুকে ছড়িয়ে থাকা অভিকর্ষের সঙ্গে। এতদিনের লড়াইয়ের মতো সেই লড়াইও জিততে বদ্ধপরিকর দুই মহাকাশচারী।