‘পুলিশের চর’ তকমা, ছত্তিশগড়ে সুকমায় স্কুলশিক্ষককে খুন করল মাওবাদীরা!

‘পুলিশের চর’ তকমা, ছত্তিশগড়ে সুকমায় স্কুলশিক্ষককে খুন করল মাওবাদীরা!

স্বাস্থ্য/HEALTH
Spread the love


সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সম্প্রতি বিনা রক্তপাতে ছত্তিশগড়ের বস্তারে ৩০ জন মাওবাদী আত্মসমর্পণ করেছে। তারপরই সামনে এল ‘পুলিশের চর’ তকমা দিয়ে এক শিক্ষককে হত্যার ঘটনা। জানা গিয়েছে, মাওবাদী উপদ্রুত বস্তারে অবুঝমাঢ়ের জঙ্গলে ঘেরা প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলিতে ‘শিক্ষাদূত’ হিসাবে কাজ করতেন তিনি। যে মানুষটি শিক্ষার প্রদীপ জ্বালতে জঙ্গল লাগোয়া গ্রামগুলিতে কাজ করছিলেন, তাঁকেই হত্যার অভিযোগ উঠেছে নকশালপন্থীদের বিরুদ্ধে।

পুলিশ জানিয়েছে, মাওবাদীরা পুলিশের চর তকমা দিয়ে কুপিয়ে খুন করেছে ৩০ বছর বয়সি শিক্ষক লক্ষ্মণ বরসেকে। সুকমা জেলার জাগারগুন্ডা থানার অন্তর্গত সিলগার গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন তিনি। বুধবার সন্ধে সাড়ে সাতটা নাগাদ সিলগার গ্রামে ঢোকে নিষিদ্ধ স‌ংগঠন সিপিআই (মাওবাদী)-র সশস্ত্র বাহিনী পিএলজিএ (পিপলস লিবারেশন গেরিলা আর্মি)-র সদস্যরা। তারা ঘর থেকে টেনে বের করে লক্ষ্মণকে। এরপর পিটিয়ে এবং কুপিয়ে খুন করা হয় তাঁকে।

উল্লেখ্য, আগেও পুলিশের চর তকমা দিয়ে শিক্ষক খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত হয়েছে মাওবাদীরা। গত ১৪ জুলাই বিজাপুর জেলার ফারসেগড় এলাকায় ‘পুলিশের চর’ তকমা দিয়ে মাওবাদীরা দুই শিক্ষাদূতকে হত্যা করেছিল। তার আগে ১৯ ফেব্রুয়ারি একই কারণে দান্তেওয়াড়া জেলায় এক শিক্ষাদূতকে হত্যা করা হয়। গত বছর সেপ্টেম্বরে মাসে সুকমা জেলায় দুড়হী অর্জুন নামে এক শিক্ষাদূতকে মাওবাদীরা খুন করে।

উল্লেখ্য, ২০২৬ সালের মার্চ মাসের মধ্যে মাওবাদমুক্ত ভারত গড়ার বার্তা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এরপর থেকেই ছত্তিশগড়, অন্ধ্রপ্রদেশ, ঝড়খণ্ডের মতো মাওবাদী অধ্যুষিত রাজ্যগুলিতে মাওবিরোধী অভিযান ব্যাপক গতি পেয়েছে। গোয়েন্দাদের মতে, বর্তমানে ছত্তিশগড়-তেলেঙ্গানা সীমানাবর্তী কারেগুট্টা পাহাড়ি এলাকা মাওবাদীদের অন্যতম শক্তঘাঁটি। এই এলাকা থেকে মাওবাদের শিকড় উপড়ে ফেলতে প্রায় ৩ হাজার আধাসেনাকে নামানো হয়েছে। দেশের বাকি অংশেও লাগাতার অভিযান চালাচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনী। সেই অভিযানের জেরে ব্যাকফুটে যাওয়া মাওবাদীরা এবার নিশানা করতে শুরু করেছে সাধারণ গ্রামবাসীদের।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *