পুজোর বুকিংয়ে হিড়িক নেই! দুশ্চিন্তায় পাহাড়-ডুয়ার্সের হোটেল-রিসর্ট মালিকরা

পুজোর বুকিংয়ে হিড়িক নেই! দুশ্চিন্তায় পাহাড়-ডুয়ার্সের হোটেল-রিসর্ট মালিকরা

জ্যোতিষ খবর/ASTRO
Spread the love


বিশ্বজ্যোতি ভট্টাচার্য, শিলিগুড়ি: পুজোর মরশুমে উত্তরে যেতে ট্রেন ও উড়ানে টিকিট মিলছে না। অথচ উলটো ছবি উত্তরের পাহাড়-সমতলের হোটেল, হোমস্টেগুলোতে। হাতে গোনা কয়েক দিন পরই পুজো। বুকিং চলছে। তবে তেমন হিড়িক নেই। পাহাড়ের হোটেলগুলোতে এখনও ষাট শতাংশ রুম ফাঁকা। এখানেই শেষ নয়। অন্য বছর এই সময় হোটেল কর্তৃপক্ষ পর্যটক ফেরাতে ব্যস্ত থাকলেও এবার রুমের খোঁজ নিতেও ফোন আসছে না। কেন এমন পরিস্থিতি, তা নিয়ে পর্যটন ব্যবসায়ীরাও ধন্দে। প্রশ্ন উঠেছে এবার পুজো অনেক এগিয়ে তাই কি পর্যটক মহলে প্রবল বর্ষণের জেরে হড়পা বান ও ভূমিধসের আতঙ্ক জেগেছে!

দার্জিলিং হোটেল অ্যাসোসিয়েশন সূত্রে জানা গিয়েছে, দার্জিলিং পাহাড়ে সাড়ে তিনশো হোটেল রয়েছে। কালিম্পংয়ে দুশো। পুজোর দিনগুলোতে প্রতিটি হোটেলে ষাট শতাংশ রুমের বুকিং এখনও হয়নি। দুই পাহাড়ে সাড়ে তিন হাজার রেজিস্টার  হোমস্টে রয়েছে। সেখানেও একই ছবি। দার্জিলিং হোটেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বিজয় খান্না জানান, প্রতি বছর পুজোর দু’মাস আগেই হোটেলগুলোর প্রতিটি রুম বুকিং শেষ হয়ে যায়। এতটাই চাহিদা থাকে যে কিচেনে থাকতে দিলেও নাছোড় পর্যটকরা বর্তে যান। এবার রুমের খোঁজে দিনে দশটা ফোনও আসছে না। কেন এমন পরিস্থিতি?

বিজয়বাবু বলেন, “উত্তরবঙ্গের পাহাড়-সমতলে অক্টোবর মাস পর্যন্ত বৃষ্টি চলে। এবার পুজো অনেক এগিয়ে। হয়তো তাই অনেকেই প্রবল বৃষ্টির জেরে হড়পা বান ও ভূমিধসের আশঙ্কা করছেন। সেজন্য কোথায় বেড়াতে যাবেন ঠিক করে উঠতে পারছেন না।” একমত কালিম্পংয়ের হোমস্টে মালিক পাসাং শেরপা। তিনি বলেন, “১০ নম্বর জাতীয় সড়কের কি অবস্থা কারও অজানা নেই।কয়েকদিন আগে ভূমিধস নেমেছে শ্বেতিঝোরার কাছে জাতীয় সড়কে, রবিঝোরা, বিরিকদারা, ২৭ মাইল, ২৯ মাইল এলাকাতেও। অনেক জায়গায় রাস্তা বলে কিছুই নেই। ওই পরিস্থিতিতে কে বেড়ানোর ঝুঁকি নেবে! তাই সিকিমের পাশাপাশি কালিম্পংকেও ভুগতে হচ্ছে।” সিকিমে কাজ করছে ১ হাজার ৭২৫টি ট্রাভেল এজেন্সি। সেখানে থাকার জন্য হোটেলগুলিতে প্রায় ৩৮ হাজার ২০৮টি শয্যা রয়েছে পর্যটকদের জন্য। পর্যটকদের নিয়ে যাতায়াতের জন্য প্রায় ৩০ হাজার লাক্সারি, সাধারণ ট্যাক্সি এবং ছোট গাড়ি রয়েছে।

কোথাও তেমন বুকিংয়ের সাড়া নেই বলে জানিয়েছেন গ্যাংটকের পর্যটন কর্মী নবীন ছেত্রী। তাঁর কথায়, “পুজোর তিনমাস আগে থেকেই চুংথাং, ফোদং গুম্ফা ও সেভেন সিস্টার্স ফল্স, লাচুং, ‘ভ্যালি অফ ফ্লাওয়ার’ ইউমথাং, লাচেন, গুরুদোংমার ঘুরে দেখার জন্য বুকিংয়ের খোঁজ চলে। কোথাও রুম ফাঁকা থাকে না। এবার বুকিংয়ের সেই হিড়িক নেই।” একই হতাশার সুর রাজ্য ইকো ট্যুরিজম কমিটির চেয়ারম্যান রাজ বসুর গলায়। কিন্তু ভূমিধস, হড়পা বান অথবা বিধ্বস্ত ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের জন্য পাহাড়ে বুকিং না হলেও সমতলের ডুয়ার্সেও একই আবস্থা কেন? উত্তর মিলছে না কোথাও। লাটাগুড়ি রিসর্ট অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক দিব্যেন্দু দে জানান, পুজোর মরশুমে রিসর্টগুলোর নব্বই শতাংশ রুমের বুকিং নেই। তিনি বলেন, “যখন উত্তরবঙ্গমুখী কোনও ট্রেন ও উড়ানে টিকিট নেই তখন পাহাড়-সমতলের হোটেল, রিসর্টগুলো ফাঁকা পড়ে আছে। সেখানে রুম বুকিংয়ের জন্য দিনে একটা ফোন আসছে না। কেন এই পরিস্থিতি বোঝা যাচ্ছে না।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ






Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *