সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুজোর কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে। অথচ কেনাকাটি হচ্ছে না। একে অফিসের চাপ। তার উপর আবার নিত্য নৈমিত্তিক নানা কাজ। গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো দফায় দফায় বৃষ্টি। সবমিলিয়ে পুজোর কেনাকাটি কিছুতেই হচ্ছে না। মনখারাপ না করে সামান্য কৌশলে আলমারিতে থাকা পুরনো শাড়ি, ব্লাউজকে দেওয়া যেতে পারে নয়া লুক। আর সেই পোশাকেই পুজোতে হয়ে উঠতে পারেন মোহময়ী।
প্রথমেই আসা যাক ব্লাউজের কথায়। প্রায় প্রত্যেক মহিলারাই আলমারিতে কিছু না কিছু পুরনো ব্লাউজ থাকে। যেগুলি সে ফেলে দিতে পারে না। আবার দিনের পর দিন থেকে যাওয়া ব্লাউজ পরতেও পারেন না। হয় মাপজোকের সমস্যা কিংবা পুরনো স্টাইলের একঘেয়েমি কাটিয়ে সেগুলি পরা হয় না। এই পুজোয় সেই ব্লাউজকে দিন নয়া রূপ। কীভাবে দেবেন নতুন চেহারা, চলুন তা জেনে নেওয়া যাক।
ব্লাউজের হাতার মাপ নিয়ে খুঁতখুঁত করেন অনেকেই। যেমন একসময়ে লম্বা হাতের ব্লাউজের চল ছিল। তবে এখন তা ব্যাকডেটেড। তাই হাতা কেটে ছোট করে নিতে পারেন।
নয়া লুক দিতে ব্লাউজে লাগাতে পারেন লেস কিংবা মুক্তো। তাতে ব্লাউজ যে বেশ ঝকঝকে হয়ে উঠবে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।
এক রঙের ব্লাউজে এমব্রয়ডারির কাজ করিয়ে নিতে পারেন। তাতেও ব্লাউজ একেবারে নয়া লুক পাবে। এবার পছন্দসই শাড়ির সঙ্গে ওই ব্লাউজ পরে একবার আয়নার সামনে দাঁড়ান। নিজেই নিজের দেখবেন কেউ চোখ ফেরাতে পারবে না।
ব্লাউজের মতো সামান্য সহজ কৌশলে পুরনো শাড়িকেও নয়া লুক দেওয়া সম্ভব। এক রঙের শাড়ি হলে সেখানে পাড়ে কিছু জুড়তে পারেন। তা হতে পারে লেস কিংবা জড়ি। আবার শাড়িতে এমব্রয়ডারির কাজও করিয়ে নিতে পারেন।
আবার পুরনো শাড়ি থেকে ইন্দো ওয়েস্টার্ন পোশাক তৈরি করতে পারেন। ওই শাড়ি থেকে স্কার্ট, প্যান্ট এবং জ্যাকেট তৈরি করে নিতে পারেন। মানানসই গয়না এবং মেকআপে আপনি মোহময়ী হয়ে উঠতে বাধ্য।
কোনও কোনও শাড়ি দিয়ে আপনি ব্যাগও তৈরি করে নিতে পারেন। বিশেষত পোটলি ব্যাগ এখন ফ্যাশনে ইন। এই ধরনের ব্যাগ শাড়ির সঙ্গে নিলে মন্দ লাগবে না।
এখন আবার কাপড় দিয়ে তৈরি গয়নাগাটি পরারও চল হয়েছে। চাইলে সেরকম দু-একটি গয়নাগাটিও তৈরি করে নিতে পারেন।
প্রতি বছর তো পুজোর আগে ঘুরেফিরে কেনাকাটি করেন। এবার উপরের এই সহজ টিপস মেনে পুরনো নয়া রূপ দিলে কিন্তু মন্দ হয় না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন