পুজোয় বিরাট চমক, প্রথমবার কিংবদন্তি গণেশ হালুইয়ের ভাবনায় গড়ে উঠবে দুর্গা

পুজোয় বিরাট চমক, প্রথমবার কিংবদন্তি গণেশ হালুইয়ের ভাবনায় গড়ে উঠবে দুর্গা

স্বাস্থ্য/HEALTH
Spread the love


সুলয়া সিংহ: ২০২৩ সাল। ঠাকুরপুকুরের এস বি পার্ক সার্বজনীন দুর্গোৎসবে যে প্রতিমা রূপ পেয়েছিল তার নেপথ্যে ছিল কলাভবনের কিংবদন্তি শিল্পী রামানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাবনা। মূল থিমের প্রধান ডিজাইনার এবং শিল্পী ছিলেন শিবশঙ্কর দাস। এবছর বেলেঘাটা ৩৩ পল্লির দুর্গাপুজোর দায়িত্বে তিনি। আর এবার সেই পুজোর প্রতিমা রূপ পাবে যাঁর ভাবনায়, তিনিও আরেক কিংবদন্তি শিল্পী। গণেশ হালুই। আগামী মাসেই নব্বই স্পর্শ করবেন তিনি। এই প্রথম কোনও দুর্গাপুজোর সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন বর্ষীয়ান মানুষটি।

ক্লাবের ২৫ বছর পূর্তিতে থাকছে এই বিরাট চমক। পুজোর থিম ‘তিন শর্ত তিন তিন’। কিন্তু কীভাবে রাজি করানো সম্ভব হল বর্ষীয়ান শিল্পীকে? সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটালের এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে শিবশঙ্কর জানাচ্ছেন, ”বহু মানুষ বহু বছর ধরে চেষ্টা করেছেন ওঁকে রাজি করানোর। আমরাও করেছি। কিন্তু প্রথমে মোটেই উনি রাজি ছিলেন না। পাত্তাই দিচ্ছিলেন না সেভাবে। কিন্তু দিন দশ-বারো আগে কনসেপ্ট শুনতে রাজি হন। দেখা করে শোনালাম সবটা। আমার পুরনো কাজ দেখালাম। অনেক প্রশ্ন করলেন। জানতে চাইছিলেন, এটা কেন করেছি, ওটা কেন করলাম। তবে কনসেপ্ট শোনার পরে চুপ করে গেলেন। বেশ কিছুক্ষণ কোনও কথাই বলছিলেন না। তারপর দেখলাম খুঁজে খুঁজে নিজের নানা স্কেচ বের করছেন। তবে সেই সঙ্গে এও বলছিলেন, আমার তো বয়স হয়েছে। কী করে আঁকব? আসলে উনি তো অসুস্থ অনেকদিন ধরেই। এই মুহূর্তেও উনি হাসপাতালে ভর্তি। তবে আমাকে কিন্তু উনি এঁকে দিয়ে দিয়েছেন সেদিনই। কেবল প্রতিমার ড্রইং নয়, যেখানে ঠাকুর বসবে তার ডান-বাম-উপর-নিচ সবটাই করে দিয়েছেন।”

কেবল ভাবনাই নয়, প্রতিমায় রংও করতে পারেন গণেশ হালুই। এমনটাই জানাচ্ছেন শিবশঙ্কর। তবে তাঁকে ভাবাচ্ছে শিল্পীর শারীরিক অবস্থা। কিন্তু সেটা যদি সম্ভব নাও হয়, উনি যে স্কেচটা দিয়েছেন তা নিয়েই উচ্ছ্বসিত তিনি। কিন্তু কেন হঠাৎ কিংবদন্তি শিল্পীর সঙ্গে কাজ করতে চাইলেন? যেখানে দুর্গাপুজোর সঙ্গে এর আগে তিনি যুক্তই হননি? এপ্রসঙ্গে শিবশঙ্কর বলছেন, ”গোটা পৃথিবীর সব আর্ট মিউজিয়ামেই ওঁর আঁকা ছবি রয়েছে। উনি বাংলারই মানুষ। অথচ দুর্গাপুজোয় একবারও যুক্ত হবেন না তা কি হয়? যেমন রামানন্দবাবুও সারা জীবন দুর্গার ছবি এঁকেছেন। অথচ ওঁকে আমরা কখনও ডাকিনি। এই ভাবনা থেকেই ওঁর কাছে গিয়েছিলাম। আর সেখান থেকেই এবার গণেশবাবুর কাছে যাওয়া।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ






Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *