পিতৃদিবসে খুদের ছবি পোস্ট পরমব্রত-কাঞ্চনের, বাবাকে স্মরণ অভিষেককন্যার

পিতৃদিবসে খুদের ছবি পোস্ট পরমব্রত-কাঞ্চনের, বাবাকে স্মরণ অভিষেককন্যার

রাজ্য/STATE
Spread the love


সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টলিপাড়ার জনপ্রিয় অভিনেতা পরিচালক পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। চলতি মাসেই বাবা হয়েছেন তিনি। মাসের পয়লা তারিখে এমন একটা রবিবারেই তাঁর পুত্রসন্তান জন্মানোর খবর দিয়েছিলেন। পিতৃদিবসের মাত্র পনেরো দিন আগেই জীবনে এই নতুন প্রাপ্তি। মা পিয়া চক্রবর্তীর সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বাবার দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। রাত জাগছেন, ন্যাপি পালটে দিচ্ছেন। সেসব খবর অবশ্য অনেক আগেই সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছিলেন পরম জায়া পিয়া। এবার পিতৃদিবসে ছেলের হাত ধরে একটি ছবি ভাগ করে নিলেন পরমব্রত। তাঁর ইনস্টাগ্রাম পেজে একই সঙ্গে নিজের ছোটবেলায় বাবার সঙ্গে তোলা একটি ছবিও পরম শেয়ার করেছেন এদিন।

এদিন ইনস্টাগ্রামে এই ছবি দুটি পোস্ট করে পরম লিখেছেন, ‘একটা কথা প্রায়ই শোনা যায়, ‘মা হওয়া কী মুখের কথা! হ্যাঁ সত্যিই এতে কোনো ভুল নেই। যে পরিমাণ কষ্ট, ত্যাগ, যন্ত্রণা, মানসিক অস্থিরতা, অবসাদ ঘিরে থাকে একজন মা কে তা বর্ণনাতীত৷ কিন্তু পিতৃত্বকে বটগাছ বৈ অন্যকিছুর সাথে তেমন একটা তুলনায় আনা হয়না বিশেষ। পিতৃত্বের অনুভূতি, চিন্তা, অস্থিরতা, ত্যাগ কিভাবে এবং কতখানি একজন বাবাকে ঘিরে থাকে তা বিগত ১৫ দিন ধরে প্রতিমুহূর্তে অনুভব করার চেষ্টা করছি৷ বোঝার চেষ্টা করছি পিতৃত্বের দায়িত্ব। যা নিঃশব্দে কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন আমার বাবা। হাতে ধরে শিখিয়ে দেওয়ার জন্য বাবা আজ আর নেই। কিন্তু এই সময়টা তোমার যে বড্ড প্রয়োজন ছিল! পৃথিবীর সকল বাবাদের পিতৃদিবসের শুভেচ্ছা।’



বাবা হওয়ার পর প্রতিটা মুহূর্ত যে তিনি ভীষণ উপভোগ করছেন তাঁর পোস্টেই স্পষ্ট। শুধু তাই নয় সম্প্রতি এক ছবির প্রিমিয়ারে এসে পরম তাঁর সহকর্মীদের সঙ্গে ভাগ করে নিচ্ছিলেন ছেলের দস্যিপানার কথা। দেখিয়ছেন তাঁদের ছবিও। ছবি শিকারিদের ক্যামেরাবন্দি হয়েছে সেই মুহূর্ত।

এদিকে মেয়ে কৃষভি জন্মানোর পর অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিকের তার সঙ্গে প্রথম পিতৃদিবস। বাবা ও মেয়ের সেই মিষ্টি মুহূর্ত এই বিশেষদিনে ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেছেন কাঞ্চন জায়া শ্রীময়ী চট্টরাজ। সেই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে কাঞ্চনকে মেয়ের সঙ্গে খুনসুটি করতে।

গাড়ির ফ্রন্টসিটে বসে বাবা আর মেয়ে মজা করে চলেছে। সাদা শার্ট, মাথায় টুপি চোখে সানগ্লাসে সেজেছেন কাঞ্চন আর ছোট্ট কৃষভি সেজেছে হলুদ রঙের জামায়। মুখে অবিরাম হাসি তার। বাবার সঙ্গে এই মুহূর্ত ছোট্ট কৃষভীকে খুব আনন্দ দিচ্ছে সেবিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।

তবে এখানেই শেষ নয়। এই বিশেষ দিনে নিজের বাবার স্মৃতিতেও বুঁদ হয়েছেন কাঞ্চন। নিজের ছোটবেলায় বাবার কাছে আদরে আশ্রয়ে থাকার সেই সময়ের ছবি শেয়ার করেছেন সোশাল মিডিয়ায় সঙ্গে রয়েছে তাঁর মেয়ের সঙ্গে তাঁর ছবিও। সেই পোস্টে কাঞ্চন লিখেছেন, ‘আমি কখনোই কোন বিশেষ দিন উদযাপনে বিশ্বাসী নয়, কারণ আমি একটু পুরনো মানসিকতার মানুষ, কিন্তু আমার মেয়ে তো ২০২৪ এর, ওর কাছে এই দিনগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ হবে, কারণ চারপাশ থেকে যেটা দেখবে ও সেটাই শিখবে, আমার মেয়ের এখনো ফাদার্স ডে বোঝার বয়স হয়নি, কিন্তু ওর কাছে যে প্রত্যেকদিন ফাদার্স ডে সেটা ও না চাইতেও বুঝিয়ে দেয়, যখন দুহাত দিয়ে গালটা ধরে, আদর করে দেয়, ওর ভাষায় নানারকম ভাবে আমাকে বোঝানোর চেষ্টা করে, তখন আমার মনে হয় আমরা সারাদিন শত ক্লান্তির পর যখন বাড়ি ফিরি তখন ওর মুখটাই দেখে মনে হয় এটাই জীবনের নিঃস্বার্থ ভালোবাসার প্রাপ্তি।’

অভিনেতা আরও লিখেছেন, ‘আমার কাছে বাবা মানে নিরাপদ আশ্রয়, যতই বাবার বকুনি খায়, বারবার মনে হয় কথা বলবো না, যতই রাগ হয়, অভিমান হয়,তাসত্ত্বেও এটা আমি জানি পৃথিবীতে একটাই মানুষ যে তোমার সমস্ত আবদার নিঃস্বার্থভাবে মিটিয়ে যাবে,তার জীবনে শতকষ্ট থাকা সত্ত্বেও। আজ বাবা হয়তো আমার মধ্যে নেই, কিন্তু আমি জানি আমার পাশে না থাকলেও, বাবার আশীর্বাদ আমার সঙ্গে ছায়ার মত আছে সর্বদা। বাবা তুমি যেখানেই থেকো ভালো থেকো। HAPPY FATHER’S DAY.’ 

 

পিতৃদিবসে বাবার স্মৃতিতে ডুব দিয়েছেন প্রয়াত অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের কন্যা সাইনা চট্টোপাধ্যায়ও। এই নিয়ে চারটে বছর বাবা কাছে নেই। বাবার স্মৃতিই সম্বল এখন তাঁর। এদিন বাবার সঙ্গে তোলা তিনটি ছবি পোস্ট করেছেন সাইনা। বিভিন্ন বয়সের তাঁর সেই তিনটি ছবি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করে সাইনা লিখেছন, ‘আমার প্রিয় মানুষ , (অবশ্যই আমার মায়ের সঙ্গে) আমি তোমাকে খুব ভালোবাসি। অনেক অনেক টা। লাভ ইউ সো মাচ।’

 

বাবার মতোই অভিনয়কে পেশা হিসাবে বেছে নিয়েছে সাইনা। পড়াশোনার জন্য খানিক বিরতি নিলেও সে যে খুব তাড়াতাড়ি কাজে ফিরবে তা জানিয়ছেন আগেই। দর্শকও মুখিয়ে রয়েছেন সাইনাকে নতুন ধারাবাহিকে ফিরে পাওয়ার জন্য।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ






Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *