পাক গোলার ভয়! রাজস্থানে ২০০ কিমি দূরে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় বিপন্ন প্রজাতির ৯ পাখিকে

পাক গোলার ভয়! রাজস্থানে ২০০ কিমি দূরে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় বিপন্ন প্রজাতির ৯ পাখিকে

ব্যবসা-বাণিজ্যের /BUSINESS
Spread the love


সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তারা বিপন্ন প্রজাতির প্রতিনিধি। বয়স পাঁচ থেকে ২৮ দিনের মধ্যে। পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সাম্প্রতিক সংঘর্ষের শিকার হতে পারত তারাও। ‘গ্রেট ইন্ডিয়ান বাস্টার্ড’ প্রজাতির ৯টি পক্ষী শাবককে তাই নিয়ে যাওয়া হয়েছে আজমেঢ়ে। আপাতত সংঘর্ষবিরতির মধ্যেই পক্ষীপ্রেমীদের মধ্যে আলোচনা চলছে এই ঘটনা নিয়ে। পাখিগুলি কেউ রামদেওড়ায় ছিল, কেউ বা ছিল স্যামে। সেখান থেকেই শীতাতপনিয়ন্ত্রিত গাড়িতে তাদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। যেহেতু বিপন্ন প্রজাতির, তাই আরও বেশি করে তাদের প্রাণে বাঁচিয়ে রাখতে বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত থেকে ৪০ কিমি দূরত্বে অবস্থিত স্যাম। রামদেওড়া ২২৫ কিমি দূরে। পাখিগুলির কেউ স্যাম কনজার্ভেশন অ্যান্ড ব্রিডিং সেন্টার, কেউ বা জয়সমিরের রামদেওড়া গ্রেট ইন্ডিয়ান বাস্টার্ড কনজার্ভেসন সেন্টারে ছিল। তাদের সকলকে ২০০ কিমি দূরত্ব পেরতে হয়েছে ১০ ঘণ্টায়। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত গাড়িতে নরম ফোমের বিছানায় রাখা হয়েছিল পাখিগুলিকে। কিন্তু এই দীর্ঘ পথ পাড়ি দেওয়াটা কি তাদের জন্য প্রতিকূল হয়ে উঠতে পারত না? সেই আশঙ্কা অবশ্য উড়িয়ে দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের দাবি, মোটামুটি ৩-৪ মাস বয়স পর্যন্ত এই পাখিগুলিকে বহু দূর পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া যায় সহজেই। যেহেতু এই ৯টি পাখির বয়স এর মধ্যেই ছিল তাই কোনও বিপদ ঘটার সম্ভাবনা ছিল না। ঘটেওনি। স্যাম থেকে চারটি এবং রামদেওড়া থেকে পাঁচটি পাখিকে ১০ মে রাতে নিয়ে আসা হয় আজমেঢ়ের আরওয়ার সেন্টারে।

উল্লেখ্য, অপারেশন সিঁদুরের সাফল্য হিসাবে ভারতের তরফে পাক অধিকৃত কাশ্মীর ও পাকিস্তানে থাকা ৯ টি জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করার কথা জানানো হয়েছিল। যদিও পাকিস্তানের পালটা দাবি ছিল, পাকিস্তানের সাধারণ মানুষের উপর হামলা করেছে ভারত। এরপরই সীমান্ত বরাবর ভারতের একাধিক গ্রামে ড্রোন ও মিসাইল হামলা চালানোর চেষ্টা করে পাক সেনা। আর এর ফলে সাধারণ মানুষের মতোই এবার সামনে এল বিপন্ন প্রজাতির পাখিদের প্রাণ সংশয়ের বিষয়টিও।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *