সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ব্যক্তিগত স্বার্থে ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের বলি চড়াচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প! এমনই গুরুতর অভিযোগ তুলে এবার সরব হলেন আমেরিকার প্রাক্তন নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান। তাঁর অভিযোগ, পাকিস্তানে ক্রিপ্টো কারেন্সির ব্যবসায় ৬০ শতাংশ অংশীদারিত্ব রয়েছে ট্রাম্প পরিবারের। তাই পাক সেনাপ্রধান আসিম মুনিরকে খুশি করতে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, ‘ট্রাম্পের নীতি আমেরিকার কয়েক দশকের প্রচেষ্টায় জল ঢেলে দিয়েছে’ বলে অভিযোগ করলেন আর এক প্রাক্তন মার্কিন নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন। সব মিলিয়ে ট্রাম্পের ভারত বিরোধী ষড়যন্ত্রে ক্ষোভের আগুন জ্বলল আমেরিকার অন্দরেই।
প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আমলে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার দায়িত্বে ছিলেন জ্যাক সুলিভান। ট্রাম্পের খামখেয়ালিপনায় দেশের স্বার্থ ক্ষুন্ন হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, “কয়েক দশক ধরে বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের দেশ ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক বাড়াতে কাজ করে চলেছে আমেরিকা। ভারত এমন একটি দেশ যার সঙ্গে আমরা আমাদের প্রযুক্তি, প্রতিভা, অর্থনৈতিক উন্নতির পথে হেঁটেছি। চিনের মোকাবিলা করতে আমেরিকার এমনটা প্রয়োজন ছিল। কিন্তু এখন সবটা নষ্ট হয়েছে।” এর জন্য ট্রাম্পের ব্যক্তিগত ব্যবসায়িক স্বার্থ দায়ী বলে অভিযোগ করেন ওই আধিকারিক। তাঁর দাবি, “পাকিস্তানের সঙ্গে ট্রাম্প পরিবারের ক্রিপ্টো ব্যবসার উন্নতির জন্য ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ককে বলি দেওয়া হচ্ছে। এটা আমেরিকার জন্য এক বিরাট ধাক্কা। কারণ, ভারত-মার্কিন কূটনৈতিক সম্পর্ক আমাদের মূল স্বার্থের জন্য একান্ত জরুরি ছিল।” তাঁর আরও দাবি, ভারতের সঙ্গে যা হচ্ছে তার অত্যন্ত খারাপ প্রভাব পড়বে বিশ্বে আমাদের অন্যান্য বন্ধুদেশগুলির উপর।”
একইসুরে ট্রাম্পকে তোপ দেগেছেন আর এক প্রাক্তন মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন। ট্রাম্পের তীব্র সমালোচনা করে তিনি বলেন, ট্রাম্পের শুল্ক নীতি ভারত-মার্কিন সম্পর্কের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক। তাঁর দাবি, ট্রাম্প নীতি ভারতকে রাশিয়া থেকে দূরে সরিয়ে রাখার কয়েক দশকের প্রচেষ্টায় জল ঢেলে দিয়েছে। এবং চিনকে ভূ-রাজনৈতিক সুবিধা করে দিয়েছে। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, রাশিয়া থেকে ভারতকে দূরে সরাতে বছরের পর বছর বিপুল অর্থ ব্যয় করেছে আমেরিকা। সে সব নষ্ট করেছে ট্রাম্পের ভুল নীতি। তাঁর দাবি, ভারতের উপর ৫০ শতাংশ শুল্ক ভারতকে চিন ও রাশিয়ার আরও কাছাকাছি এনে দিয়েছে। ট্রাম্পের নীতি চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে পূর্ব এশিয়ার কূটনৈতিক পরিস্থিতিকে নিজের অনুকূলে আনার সুযোগ করে দিয়েছে।