পাকিস্তানের চিনা এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ‘অন্ধ’ করে হামলা চালায় বায়ুসেনা! কীভাবে, জানাল দিল্লি

পাকিস্তানের চিনা এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ‘অন্ধ’ করে হামলা চালায় বায়ুসেনা! কীভাবে, জানাল দিল্লি

জ্যোতিষ খবর/ASTRO
Spread the love


সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর পাকিস্তান যে চিনা এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম স্থাপন করেছিল, তা অন্ধ করে দিয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনা। বুধবার একটি বিবৃতি জারি করে এমনটাই জানাল নয়াদিল্লি। একইসঙ্গে বলা হয়েছে, ২৩ মিনিটেরও কম সময়ে অপারেশন সিঁদুর সম্পন্ন করে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারত তার কঠিন প্রতিরোধ ক্ষমতা বিশ্বের কাছে প্রমাণ করে দিয়েছে।

কিন্তু কীভাবে ২৩ মিনিটের মধ্যে এই অভিযান সফল করল ভারত? তার উত্তরে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রথমে বায়ুসেনা দক্ষতার সঙ্গে পাক নিরাপত্তা বলয় ভেদ করে সমস্ত সিগন্যাল নিস্ক্রিয় করে দেয়। ফলে ভারতের মিশাইলগুলি আটকাতে অক্ষম হয়ে পড়ে চিনা এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। তাই বলা যায়, ভারতের প্রত্যাঘাতে কার্যত অন্ধ হয়ে পড়ে পাক প্রতিরোধ। মাত্র ২৩ মিনিটের মধ্যেই সফল হয় অপারেশন সিঁদুর। বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, ভারতকে পালটা জবাব দিতে চিনের পিএল-১৫ ক্ষেপণাস্ত্রের ব্যবহার করে ইসলামাবাদ। শুধু তাই নয়, আকাশ সীমা লঙ্ঘন করে পাক সেনা তুরস্কের বিভিন্ন রকেট এবং ‘ইহাও’ ড্রোন ভারতে পাঠায়। কিন্তু পাকিস্তানের সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দেয় ভারতের নিজের তৈরি এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। আকাশেই ধ্বংস হয়ে সেই সব ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র। এই গোটা অভিযানে ভারতের বিন্দুমাত্র কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলেও জানানো হয়েছে বিবৃতিতে। বলা হয়েছে, নিখুঁত পরিকল্পনা, ক্ষেপণাস্ত্রগুলির কার্যকারিতা এবং উন্নত প্রযুক্তি ভারতের সাফল্যের অন্যতম কারণ।

ভারত-পাক সংঘাতের আবহে চিনের পাশাপাশি পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়েছে তুরস্কও। ভারতীয় সেনার তরফে জানা যায়, ভারতের মাটিতে যে মুষ্টিমেয় ড্রোন আছড়ে পড়েছিল তার বেশিরভাগই ছিল তুরস্কের। এর মাঝেই প্রকাশ্যে এসেছে এক চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট যেখানে দাবি করা হচ্ছে, তুরস্ক কেবল ৩৫০টিরও বেশি ড্রোন দিয়ে পাকিস্তানকে ভারতের বিরুদ্ধে ‘যুদ্ধে’ সাহায্য করেনি, বরং নিজের দেশ থেকে সেনা ও অপারেটরও পাঠিয়েছিল। তুরস্কের সেনা আধিকারিকদের উপস্থিতিতেই ৭ ও ৮ মে রাতে ড্রোন হামলা চলে ভারতে। কীভাবে ড্রোন পরিচালনা করতে হবে তার প্রশিক্ষণও দেয় তুরস্কের সেনা।

উল্লেখ্য, ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে ২৬ নিরস্ত্রকে হত্যা করে লস্করের সঙ্গী সংগঠন টিআরএফের পাঁচ জঙ্গি। ৭ মে ভোর-রাতে অপারেশন চালায় ভারত। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় পাকিস্তান ও পিওকে-র নয়টি জঙ্গিঘাঁটি। এরপর ভারতের সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলির জনবহুল এলাকা এবং সেনাঘাঁটিকে লক্ষ্য করে হামলা চালায় পাকিস্তান। সেই হামলা প্রতিহত করার পাশাপাশি প্রত্যাঘাত করে ভারত। তাতেই তছনছ হয়ে গিয়েছে পাকিস্তানের একধিক বায়ু সেনাঘাঁটি। জানা গিয়েছে, পর্যন্ত ভারতীয় সেনার অভিযানে নিহত হয়েছে ১০০ জনের বেশি জঙ্গি, ৩৫-৪০ পাক সেনা।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *