সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পহেলগাঁও হামলার পর মোদি সরকারের লক্ষ্য মূলত দুটি। জম্মু ও কাশ্মীরের মাটি থেকে সন্ত্রাসের শিকড় পুরোপুরি উপড়ে ফেলা ও সন্ত্রাসের ইন্ধনদাতা পাকিস্তানকে উচিত শিক্ষা দেওয়া। এই আবহেই শনিবার দিল্লিতে জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার সঙ্গে সিক্রেট বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ৩০ মিনিটের এই রুদ্ধদ্বার বৈঠকে পহেলগাঁও হামলা উদ্ভূত নিরাপত্তা পরিস্থিতি-সহ একাধিক বিষয়ে কথা হয় দুজনের। যদিও তাঁদের আলোচনার বিষয়বস্তু প্রকাশ্যে আনা হয়নি।
শনিবার দিল্লিতে যে প্রধানমন্ত্রী এবং জম্মু ও কাশ্মীরের মধ্যে বৈঠক হতে চলেছে তার আগাম আভাষ দিয়েছিল ন্যাশনাল কনফারেন্স। জানানো হয়, এই বৈঠকে জম্মু ও কাশ্মীরের প্রশাসনের তরফ থেকে কেন্দ্রকে যে কোনও পদক্ষেপে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হবে। জম্মু ও কাশ্মীরের মানুষও যে পহেলগাঁও হামলার প্রতিশোধ চায় সে কথা তুলে দেওয়া হবে প্রধানমন্ত্রীর কানে। এরপরই শনিবার দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে ৩০ মিনিটের রুদ্ধদ্বার বৈঠক হয় নরেন্দ্র মোদি ও ওমর আবদুল্লার মধ্যে। উল্লেখ্য, পহেলগাঁও হামলার পর এই প্রথম বৈঠক হল দুজনের।
গত ২২ এপ্রিল দুপুরে বৈসরন ভ্যালি রিসর্টে হামলা চালায় চার জঙ্গি। তার মধ্যে দু’জন পাকিস্তানি। বাকি দুজন কাশ্মীরের বাসিন্দা। ধর্ম জিজ্ঞাসা করে সেখানে উপস্থিত ২৫ পর্যটক ও এক স্থানীয় নাগরিককে হত্যা করে তারা। চারজনের স্কেচও প্রকাশ হয়েছে। এদের পথপ্রদর্শক হিসাবে আদিল ঠোকর নামের এক জঙ্গির নামও প্রকাশ করেছে তদন্তকারী সংস্থাগুলি। এর বাইরে আর কারা যুক্ত সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এনআইএ সূত্র বলছে, এই হামলার জন্য লস্করের সঙ্গে পাক সেনা এবং আইএসআই যে সক্রিয়ভাবে কাজ করেছে সেটার পোক্ত প্রমাণ রয়েছে। এনআইএ’র রিপোর্ট বলছে, এই হামলার নেপথ্যে অন্তত ২০ জন ওভারগ্রাউন্ড ওয়ার্কার কাজ করেছে। এই ওভারগ্রাউন্ড ওয়ার্কাররা এখনও কাশ্মীরে সক্রিয়।
ফলে এই হামলায় পাকিস্তানের যোগ ইতিমধ্যেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। প্রতিশোধের আগুনে ফুটছে গোটা দেশ। সন্ত্রাসবাদকে নির্মূল করতে উপত্যকায় কেন্দ্রের যে কোনও পদক্ষেপে ওমর আবদুল্লার যে সমর্থন রয়েছে তা আগেই জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘এই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কাশ্মীরের মানুষের মনেও তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে যা আশার আলো। জনগণের সাহায্যেই উপত্যকা থেকে সন্ত্রাসবাদের নির্মূল সম্ভব।’ এহেন পরিস্থিতির মাঝেই এই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ওমর আবদুল্লার ঠিক কী নিয়ে আলোচনা হল তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।