সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পহেলগাঁওয়ের মিনি সুইৎজারল্যান্ডে যখন ধর্মীয় পরিচয় জিজ্ঞেস করে নরসংহার চলছে, সেই সময় সেখান থেকে খানিক দূরে এক মহিলাকে তাঁর ধর্মীয় পরিচয় জিজ্ঞেস করেছিলেন এক সন্দেহভাজন। গোপনে ওই সন্দেহভাজনের ছবিও তুলে নেন মহিলা। যা ভাইরাল হতেই শোরগোল পড়ে যায় দেশে। অবশেষে সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ।
শুক্রবার গান্দেরওয়াল পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, একতা তিওয়ারি নামের ওই মহিলা পর্যটক মোবাইলে ছবি তুলেছিলেন ওই সন্দেহভাজনের। ঘটনার দিন নিজেকে খচ্চরের সহিস বলে পরিচয় দিয়েছিল অভিযুক্ত। এবং ওই পর্যটককে তাঁর ধর্মীয় পরিচয় জিজ্ঞাসা করা হয়। এই জঙ্গি হামলার ঘটনায় ওই যুবকের যোগ থাকতে পারে অনুমান করে তদন্তে নামে গান্দেরওয়াল পুলিশ। এরপর শুক্রবার গ্রেপ্তার করা হয় অভিযুক্তকে। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, সন্দেহভাজন ওই যুবকের নাম আইয়াজ আহমেদ জুঙ্গাল। সোনমার্গের কাছে খচ্চর পরিষেবা দেয় ওই যুবক। পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তাঁর কোনওরকম যোগ রয়েছে কিনা তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। আপাতত তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ঘটনার দিন ওই যুবকের ভূমিকা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, সন্দেহভাজন ওই যুবক প্রসঙ্গে মহিলার দাবি ছিল, সহিস পরিচয় দেওয়া ওই ব্যক্তির খচ্চর ভাড়া করতে গিয়ে সন্দেহ হয়েছিল তাঁর। খচ্চর ভাড়া নিয়ে দরদামের সময় ফোন আসে ওই যুবকের। মোজা থেকে ফোন বার করায় তাঁর সন্দেহ হয়। এরপর পর্যটকদের ধর্ম নিয়েও প্রশ্ন করে লস্কর জঙ্গি, এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি ছিল মহিলার। ফোনের কত্থোপকথনও শুনেছিলেন মহিলা। সেখানে ওই যুবক কাউকে বলেন, ‘প্ল্যান এ’ ব্যর্থ হয়েছে, এখন ‘প্ল্যান বি’-তে কাজ হবে।
মহিলার দাবি, ফোনের কথোপকথনে ‘প্ল্যান বি’, ‘বক্স’ এই সব কথা তাঁর কানে আসে। তার পরেই তিনি তাঁর স্বামীকে বলেন, যেভাবেই হোক আসিফের একটা ছবি তুলতে। সেই ছবির সূত্রেই প্রকাশ্যে আসতেই চর্চা শুরু হয়।