সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মৃত্যুপুরী পহেলগাঁও। মঙ্গলবার দুপুরের হামলায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। রীতিমতো ধর্মীয় পরিচয় দেখে দেখে হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি প্রত্যক্ষদর্শীদের। সেই মৃত্যুর রেশে এখনও শোকাচ্ছন্ন দেশ। এই পরিস্থিতিতে গভীর শোকপ্রকাশ করল এলআইসি। সেই সঙ্গেই জানিয়ে দেওয়া হল, এলআইসি অফ ইন্ডিয়া ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এবং ক্লেম সেটলমেন্ট করে দেওয়া হবে দ্রুত।
সেই সঙ্গেই সংস্থার সিইও ও এমডি সিদ্ধার্থ মহান্তি ঘোষণা করেছেন, পলিসির দাবিদারদের কষ্ট লাঘব করার জন্য অনেক ছাড়ও দেওয়া হবে। যেমন মৃত্যুর শংসাপত্রের পরিবর্তে জঙ্গি হামলায় পলিসি হোল্ডারের মৃত্যু সংক্রান্ত সরকারি নথি কিংবা সরকারি কোনও আর্থিক সহায়তার প্রমাণপত্রও দাখিল করা যাবে ক্লেমের সময়। সেই সঙ্গেই তিনি পরিষ্কার করে দিয়েছেন, তাঁদের উদ্দেশ্যই ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির দাবির দ্রুত নিষ্পত্তি করার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা করা। এবং এই সংক্রান্ত যে কোনও সহায়তার জন্য নিকটবর্তী এলআইসির ব্রাঞ্চ অথবা ডিভিশন কিংবা কাস্টমার জোনে যোগাযোগ করা যাবে।
প্রসঙ্গত, পুলওয়ামার পর এটাই ভারতের বুকে ঘটে যাওয়া সবচেয়ে বড় জঙ্গি হামলা। অন্তত মৃতের সংখ্যার নিরিখে। পুলওয়ামা যেমন গোটা ভারতকে নাড়িয়ে দিয়েছিল, এই ঘটনার ভয়াবহতাও কোনও অংশে কম নয়। পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিদের হামলার প্রতিবাদে ফুঁসছে দেশ। ইতিমধ্যেই পাকিস্তানের উপর ‘কূটনৈতিক সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ করেছে নয়াদিল্লি। সিন্ধু জলচুক্তি বাতিল করা হয়েছে। বন্ধ ওয়াঘা-আটারি সীমান্ত। বাতিল করা হচ্ছে পাকিস্তানিদের ভিসা। পাশাপাশি ‘আক্রমণ’ অভ্যাস শুরু করল ভারতীয় বায়ুসেনা।
রাফালে যুদ্ধবিমানের নেতৃত্বে সেন্ট্রাল সেক্টরে সক্রিয় হয়ে উঠেছে ভারতীয় বায়ুসেনার প্রত্যেকটি যুদ্ধবিমান। প্রতিরক্ষা সূত্রে খবর, ভূখণ্ডে ঢুকে যুদ্ধ করার পাশাপাশি ইলেকট্রনিক যুদ্ধের জন্যও প্রস্তুতি নিচ্ছে বায়ুসেনা। অন্যদিকে, সীমান্তে সেনা সংখ্যা বাড়াচ্ছে পাকিস্তানও। সূত্রের খবর, রাওয়ালপিন্ডির সেনাঘাঁটিকে সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় বাড়ছে পাক সেনার সংখ্যা।