সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাঁচ মাস আগে জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে ২৬ জনকে হত্যা করেছিল পাক মদতপুষ্ট লস্করের সহযোগী টিআরএফ জঙ্গিরা। সম্প্রতি কুলগামের বাসিন্দা বছর ২৬-এর যুবক মহম্মদ ইউসুফ কাটারিয়াকে গ্রেপ্তার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তিনি জঙ্গিদের সাহায্যকারী হিসাবে কাজ করেন। এদিন জানা গিয়েছে, মোবাইলের চার্জারের সূত্র ধরেই পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডে জড়িত জঙ্গিদের সাহায্যকারীকে পাকড়াও করেন তদন্তকারীরা।
এনআইএর তদন্তে উঠে এসেছে, পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডে জড়িত জঙ্গিদের সঙ্গে চার বার দেখা করেছিলেন তিনি। অ্যানড্রয়েড মোবাইলের একটি চার্জারও তিনি জঙ্গিদের দিয়েছিলেন। সেই চার্জারই ধরিয়ে দেয় কাটারিকে। উল্লেখ্য, গত আগস্ট মাসে ভূস্বর্গে ‘অপারেশন মহাদেব’ চালায় কাশ্মীর পুলিশ ও সেনার যৌথবাহিনী। সেই সময় বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার হয়েছিল। ওই অস্ত্রের সূত্র ধরেই মহম্মদ ইউসুফ কাটারিয়াকে চিহ্নিত করে গোয়েন্দারা। জানা গিয়েছে, কাটারিয়া চুক্তিভিত্তিক চাকরিতে কাজ করত। পাশাপাশি স্থানীয় শিশুদের পড়াত তিনি। পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের কয়েক মাস আগেই সন্ত্রাসবাদীদের সংস্পর্শে আসে এই যুবক। এরপরেই তাদের আন্দোলনে সাহায্য করা শুরু করে।
তদন্তে উঠে এসেছে, পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসী হামলার কয়েক মাস আগে কাটারিয়া লস্কর জঙ্গিদের কুলগাঁওয়ের জঙ্গলের পথ চিনিয়ে দিয়েছিল। এরপরেই ২২ এপ্রিল বৈসরণ উপত্যকা রক্তাক্ত হত্যাকাণ্ড ঘটে। মৃত্যু হয়েছিল মোট ২৬ জনের। এদের মধ্যে ২৫ জন পর্যটকের ধর্ম জেনে হত্যা করা হয়েছিল, মা-স্ত্রী-সন্তানদের সামনেই খুন করা হয় তাঁদের। উল্লেখ্য, জঙ্গিদের থাকার জায়গার ব্যবস্থা করা দুই ব্যক্তিকে আগেই গ্রেপ্তার করেছে এনআইএ। এবার তাঁদের সাহায্যকারী ব্যক্তিকেও হেফাজতে নিল তদন্তকারী সংস্থা।
প্রসঙ্গত, ২২ এপ্রিল পহেলগাঁও হামলায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়। এরপর থেকেই ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয়। বদলা নিতে ৭ মে পাক অধিকৃত কাশ্মীর এবং পাকিস্তানে ‘অপারেশন সিঁদুর’ অভিযান চালায় ভারতীয় সেনা। এর জেরে ধ্বংস হয় পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯ টি জঙ্গিঘাঁটি। এর পরেই দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। চার দিন পর সংঘর্ষবিরতি হলেও এখনও উভয় দেশের মধ্যে চাপা উত্তেজনা রয়েছে।