সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অন্ধকারের কেটে আলোর দেখা মিলবে, মালদহ- মুর্শিদাবাদ ঘুরে মন্তব্য করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তাঁর আরও পর্যবেক্ষণ, রাজ্য পুলিশ ও আধাসেনা মোতায়েনের পর মুর্শিদাবাদের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। সঙ্গে স্থানীয়দের দাবি দাওয়া নির্দিষ্ট জায়গায় জানাবেন বলে জানিয়েছেন রাজ্যপাল। সারাদিন মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে বহরমপুরে সাংবাদিক সম্মেলনে এমটাই জানালেন রাজ্যের সাংবাদিক প্রধান।
মুর্শিদাবাদ উত্তাল হওয়ার পর শুক্রবার ও শনিবার দুর্গতদের সঙ্গে দেখা করেন রাজ্যপাল। শুক্রবার মুর্শিদাবাদ ছেড়ে মালদহে আশ্রয় নেওয়া বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন। আজ শনিবার যান মুর্শিদাবাদের জাফরাবাদ ও বেতোয়ান ও ধুলিয়ানে। জাফরাবাদে খুন হওয়া হরগোবিন্দ দাস ও চন্দন দাসের বাড়িতে যান। কথা বলেন স্থানীয়দের সঙ্গে। সেখানে বিএএস ক্যাম্পের দাবি তোলেন বাসিন্দা। সাংবাদিক সম্নেলন করে রাজ্যপাল বলেন,”স্থানীয়র বেশ কয়েকটি দাবি রয়েছে। তাঁরা জাস্টিস চান। তাঁরা শান্তিতে থাকতে চান। তৃতীয়ত্ব, বাসিন্দারা স্থায়ী বিএসএফের ক্যাম্প তৈরির দাবি জানিয়েছেন। সঠিক জায়গায় তা জানাব। আমি আশাবাদী অন্ধকার কেটে গিয়ে আলোর দেখা মিলবে। একজন রাজ্যপাল হিসাবে আমার যা করণীয় আমি করছি, করব। এটাই আমার কর্তব্য। আমি বাংলার মানুষের সঙ্গে আছি।”
আরও জানান, তিনি স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে বুঝেছেন তাঁরা কী চান ও তাঁদের কী প্রয়োদজন। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবেন। সাংবাদিকদের তরফে তাঁকে প্রশ্ন করা হয় এলাকার পরিস্থিতি কেমন?রাজ্যরপাল বলেন, “আধাসেনা ও পুলিশ ফোর্স মোতায়েন করার পর পরিস্থিতি এখন স্থিতিশীল রয়েছে। তবে অনেক উদ্বেগের বিষয়ও আছে। মানুষের কিছু সমস্যা আছে।” সঙ্গে তিনি এও জানিয়েছেন, এটা কাঁদা ছোঁড়াছুড়ির সময় নয়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করাই উদ্দেশ্য।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুরোধ উড়িয়ে মুর্শিদাবাদ যান রাজ্যপাল। বেতোয়ানে স্থানীয়দের বিক্ষোভে আটকে যায় তাঁর কনভয়। পরে স্থানীয়দের সঙ্গে তিনি কথা বলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। এদিনই বহরমপুর থেকে রেলপথে কলকাতায় ফিরবেন রাজ্যপাল। অন্যদিকে, মুর্শিদাবাদে গিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার ও মালদহ দক্ষিণের সাংসদ ইশা খান চৌধুরী। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলছেন তাঁরা।