সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্ব পরিবেশ দিবস। ফি বছর ৫ জুন দিনটিতে পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে নানা উদযাপন হয়। তবে ওই একটি দিনই, বছরের বাকি সময় আমরা অধিকাংশই ভুলে যাই আমাদের চারপাশে পরিবেশকে সুস্থ রাখার কথা। কিন্তু এই মুহূর্তে পৃথিবী যে অবস্থায় দাঁড়িয়ে, তাতে প্রতিদিনের বেশ খানিকটা সময় ধরে পরিবেশ রক্ষার কাজ অত্যন্ত জরুরি। এমনই মনে করছেন বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান বিরোধী দল বিএনপি-র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তাঁর মতে, গাছ লাগানোর মতো কাজ এখন আর শখ বা বিলাসিতা নয়, এটা সময়ের দাবি। আর তাই বিশ্ব পরিবেশ দিবসে তিনি পাঁচ অঙ্গীকার করলেন। নতুন করে দাবি তুললেন পরিবেশ রক্ষার।
তারেক রহমানের কথায়, ”পরিবেশ সংরক্ষণ কোনও বিলাসিতা নয়, এটা এখন সময়ের দাবি। দূরদর্শিতা বিহীন শিল্পায়ন ও অপরিকল্পিত উন্নয়নের কারণে বিশ্বজুড়ে প্রাকৃতিক ভারসাম্য হুমকির মুখে। বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও জীববৈচিত্র্য রক্ষা করা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে নৈতিক দায়িত্ব।” এ বিষয়ে তিনি পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছেন। সেগুলি –
জাতীয় গ্রিন রিকভারি প্ল্যান: পুনর্বনায়ন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও টেকসই কৃষিতে বিনিয়োগ।
প্লাস্টিক ও রাসায়নিক নিষিদ্ধ করা: ক্ষতিকর প্লাস্টিক ও বিষাক্ত পদার্থ নিষিদ্ধ করে পরিবেশবান্ধব পণ্যে উৎসাহ।
নদী ও খাল পুনরুদ্ধার: জলাবদ্ধতা নিরসনে ও পরিবেশ ভারসাম্যে খনন প্রকল্প।
জলবায়ু সহনশীল দক্ষিণাঞ্চল গড়া: দুর্যোগপ্রবণ এলাকায় টেকসই অবকাঠামো ও কৃষি ব্যবস্থা উন্নয়ন।
পরিবেশ শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা: শিক্ষাক্রমে পরিবেশ বিষয় অন্তর্ভুক্তি।
বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের আরও বক্তব্য, ”বিএনপি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই পরিবেশবান্ধব কর্মকাণ্ডে নেতৃত্ব দিয়েছে। ১৯৭৭ সালে জিয়াউর রহমান পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ প্রকল্প চালু করেন, যা পরে পূর্ণাঙ্গ বিভাগে রূপ নেয়। খালেদা জিয়া ১৯৯৫ সালে পরিবেশ সংরক্ষণ আইন প্রণয়ন করেন এবং পরিবেশ আদালত প্রতিষ্ঠা করেন। আসুন, এই বিশ্ব পরিবেশ দিবসে আমরা আশার বীজ বুনে একটি টেকসই, সবুজ ও বাসযোগ্য বাংলাদেশ গড়ে তুলি। যা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি শক্তিশালী উত্তরাধিকার হয়ে থাকবে।”