সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উত্তর প্রদেশের মেরঠে কিশোরীর মুণ্ডহীন দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়া আস্থা ওরফে অনুষ্কার প্রেমের সম্পর্ক মেনে নিতে পারেনি তার পরিবার। সেই কারণেই শ্বাসরোধ করে তাকে খুন করে পরিবারের সদস্যরা। পরে মাথা কেটে দেহ অন্যত্র ফেলে দিয়ে আসেন। এই ঘটনার তদন্তে নেমে এখনও পর্যন্ত কিশোরীর মা, ভাই, মামা-সহ তার এক বন্ধুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার মেরঠের প্রতাপপুর এলাকায় মুণ্ডহীন দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। তৎক্ষণাৎ পুলিশে খবর দেওয়া হলে পুলিশ এসে মৃতদেহটি উদ্ধার করে। মৃতের চুড়িদারের পকেটে একটি কাগজ উদ্ধার করে পুলিশ। সেখানেই ওই কিশোরীর প্রেমিকের নম্বর লেখা ছিল। পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানোর ব্যবস্থা করে। ওই নম্বরে যোগাযোগ করে কিশোরীর প্রেমের বিষয়ে জানতে পারে পুলিশ। এদিকে মৃতের পরিবারের সদস্যদের দাবি ছিল, বুধবার স্কুলে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়ে আর ফেরেনি অনুষ্কা। মৃতের পরিবারের সদস্যরা স্থানীয় থানায় নিখোঁজ ডায়েরিও করেছিলেন।
এদিকে কিশোরীর প্রেমের বিষয়ে জানার পর অনুষ্কার পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। তাঁদের কথায় অসঙ্গতি ধরা পড়তেই কিশোরীর মা, ভাই-সহ বেশ কয়েকজনকে আটক করে পুলিশ। জেরার মুখে পড়ে মেয়েকে খুন করার কথা স্বীকার করে নেন মৃতার মা।
তিনি পুলিশকে জানান, বুধবার দুপুরে মেয়ে তার প্রেমিকের সঙ্গে কথা বলছিল। সেই সময় তিনি ফোনটি কেড়ে নেন। এরপরেই মেয়ের সঙ্গে তাঁর বচসা হয়। রাগের মাথায় মেয়েকে শ্বাসরোধ করে খুন করেন তিনি। এরপরই নিজের ভাইকে ফোন করে ডেকে আনেন। তাঁদের সঙ্গে যুক্তি করেই একটি পরিকল্পনা করে মেয়ের মুণ্ড কেটে ফেলেন। তারপরেই দেহ এক জায়গায় ও মুণ্ড অন্য জায়গায় ফেলে আসেন। যদিও শেষ পর্যন্ত পুলিশের কাছে ধরা পড়ে যান তাঁরা। পুলিশ জানিয়েছে, মুণ্ডহীন দেহ উদ্ধার হলেও এখনও পর্যন্ত কাটা মুণ্ডটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করে মুণ্ড উদ্ধার করার চেষ্টা চলছে। এই ঘটনায় আরও কেউ জড়িত কিনা জানতে তদন্ত চলছে।