পরিচালক, প্রযোজকদের স্বার্থরক্ষার দায়িত্ব তথ্যসংস্কৃতি দপ্তরের সচিবের: কলকাতা হাই কোর্ট

পরিচালক, প্রযোজকদের স্বার্থরক্ষার দায়িত্ব তথ্যসংস্কৃতি দপ্তরের সচিবের: কলকাতা হাই কোর্ট

জ্যোতিষ খবর/ASTRO
Spread the love


গোবিন্দ রায়: প্রযোজকরা কেউই টলিউডের টেকনিশিয়ানদের বিরোধী নন, বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিল ফেডারেশন। শুধু তাই নয়, টালিগঞ্জের জনা চার-পাঁচ পরিচালক ব্যক্তিস্বার্থে সাড়ে ছয় হাজার টেকনিশিয়ানের ‘পেটে লাথি মেরে’ নিজেদের প্রযোজক হিসাবে তুলে ধরার চেষ্টা করছেন বলেও অভিযোগ ছিল কলাকুশলীদের। ফেডারেশন বনাম ডিরেক্টর্স গিল্ডের সংঘাতে টলিপাড়ার বেশ কজন পরিচালকের শুট বাধাপ্রাপ্ত হওয়ার মিলেছিল। যার জেরে পরিচালকদের একাংশ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বলেও জানা যায়। সোমবার সেই মামলার রায়েই বিচারপতি অমৃতা সিনহা জানিয়ে দিলেন, পরিচালক, প্রযোজকদের কাজে যেন বাধা দেওয়া না হয় সেটা নিশ্চিত করতে হবে তথ্যসংস্কৃতি দপ্তরের সচিবকে।

উল্লেখ্য, সোমবার টলিপাড়ার ফেডারেশন বনাম ডিরেক্টর্স গিল্ডের তরজা নিয়ে মামলার শুনানি ছিল। এদিন পরিচালকদের পাশে দাঁড়িয়ে রায় দিল কলকাতা হাই কোর্ট। যার জেরে কিছুটা হলেও স্বস্তিতে মামলাকারী পরিচালকরা। বিচারপতি অমৃতা সিনহা জানান, টলিউডে কেউ স্বাধীনভাবে কাজ করতে চাইলে বাধা দেওয়া যাবে না। জীবন ও জীবিকার মৌলিক অধিকার যাতে ক্ষুন্ন না হয়, সেটা নিশ্চিত করাই আদালতের মূল উদ্দেশ্য। কারও জীবিকা বা ব্যবসা বন্ধ করার অধিকার কোনও সংগঠনেরই নেই। কারও কাজ করার পথে কোনও সমস্যা যেন অন্তরায় হয়ে না দাঁড়ায়, সেটা নিশ্চিত করতে হবে তথ্যসংস্কৃতি দপ্তরের সচিবকে। বিচারপতি জানিয়েছেন, কোথাও কোন অসুবিধা হলে স্থানীয় পুলিশের সাহায্য নিতে পারবেন সচিব।

মামলার আগামী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে, ১৬ জুন। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ফেডারেশনের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তুলে আদালতের দ্বারস্থ হন কয়েকজন পরিচালক। বিদুলা ভট্টাচার্যের দায়ের করা মামলাতে সায় দিয়ে একযোগে আদালতের দ্বারস্থ হন, অনির্বাণ ভট্টাচার্য, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, সুদেষ্ণা রায়, সুব্রত সেনরা। উচ্চ আদালতের রায়ে আগামী জুনে কি ইন্ডাস্ট্রির সমস্যা মিটবে? চূড়ান্ত শুনানির দিকে নজর থাকবে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *